পুরুলিয়া, 4 সেপ্টেম্বর: ঝালদায় তপন কান্দু হত্যার ঘটনায় ভাড়াটে শুটারকে গ্রেফতার করল সিবিআই । সূত্রের খবর, ধৃতের নাম জাবির আনসারি। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে (Hired Shooter Arrested by CBI) ।
জানা গিয়েছে, গত 13 মার্চ তপন কান্দুর হত্যার দিন অভিযুক্ত কলেবর সিংয়ের সঙ্গে এই জাবির আনসারিকে ঝালদা শহরে রেকি করতে দেখা গিয়েছে । সেই বাইকটি চালাচ্ছিল জাবির আনসারি । বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে কলেবর সিং । তাকে এবং গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের জেরা করে ও সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই ঝাড়খণ্ড থেকে জাবিরকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷ তদন্তকারীদের অনুমান, তপন কান্দুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এই জাবির আনসারিই । গ্রেফতারি প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, "সিবিআই-কে ধন্যবাদ । আগামিদিনে আরও বড় মাথা ধরা পড়বে । খুব তাড়াতাড়ি এই মামলার বিচার হবে ।" ভাইপো মিঠুন কান্দুও বলেন, "একে একে সবাই ধরা পড়বে এবার ।"
তপন কান্দু খুনে ধৃত ঝাড়খণ্ডের যুবক আরও পড়ুন:তপন কান্দু খুনে চার্জশিট পেশ সিবিআই-এর
প্রসঙ্গত, 13 মার্চ দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে খুন হন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু । ঘটনার তদন্তে নামে জেলা পুলিশের সিট । গ্রেফতার করে চার অভিযুক্তকে । কিন্তু এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে সোচ্চার হয় নিহতের পরিবার । ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পরে এপ্রিল মাসের 4 তারিখ কলকাতা হাইকোর্ট এই খুনের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয় । এর ঠিক দুদিন পর 6 এপ্রিল তপন কান্দু খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ।
সেদিনই ঝালদায় এসে সিটের কাজ থেকে তদন্তভার নেয় সিবিআই । এরপরই সিটের হাতে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের জেরা করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা । 12 এপ্রিলই কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট । এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন মোট 5 অভিযুক্ত । বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে নিহত তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দু, নিহত তপন কান্দুর ভাই নরেন কান্দু, আশিক খান, কলেবর সিং ও সত্যবান পরামানিক । 13 জুন পুরুলিয়া জেলা আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করে সিবিআই । 24 অগস্ট মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে পুরুলিয়া জেলা আদালতে ।