পুরুলিয়া, 24 অগস্ট: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের মামলায় (Jhalda Murder Case) সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হল বুধবার ৷ আদালতে হাজির ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী ৷ পাশপাশি খুনের ঘটনার 5 অভিযুক্তকেও আদালতে হাজির করেছিল সিবিআই (CBI) ৷ আগামী 21 ও 22 সেপ্টেম্বর ফের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছে আদালত (District Court)।
এদিন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন গ্রেফতার অভিযুক্ত দীপক কান্দু। তিনি বলেন, "তৃণমূল করি বলে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। সিবিআই আমাদের উপর নানারকম চাপ সৃষ্টি করছে। কোনও প্রমাণ ছাড়াই আমাদের গ্রেফতার করেছে। আমরা নির্দোষ।" পুলিশ ভ্যানের ভেতরে বসেই তিনি আরও বলেন, "সিবিআই হটাও বাংলা বাঁচাও ধ্বনি তোলেন দীপক কান্দু।" পাশাপাশি নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, "সিবিআই তদন্তে পূর্ণ ভরসা রয়েছে। তদন্তে আমরা খুশি। অভিযুক্তরা নিশ্চই শাস্তি পাবে।"
প্রসঙ্গত, গত 13 মার্চ দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে খুন হন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু । ঘটনার তদন্তে নামে জেলা পুলিশের সিট। গ্রেফতার করে খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত 4 অভিযুক্তকে। কিন্তু এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে সোচ্চার হয় নিহতের পরিবার। গত 4 এপ্রিল কলকাতা উচ্চ আদালত এই খুনের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয় সিবিআইকে। এরপরই 6 এপ্রিল তপন কান্দু খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেদিনই ঝালদায় এসে সিটের কাজ থেকে তদন্তভার নেয় সিবিআই।
তপন কান্দু খুনের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু আরও পড়ুন:তপন কান্দু খুনের তদন্তের অগ্রগতি জানতে সিবিআইয়ের কাছে হাজির পূর্ণিমা
এরপরই সিটের হাতে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের জেরা করেন সিবিআই তদন্তকারী অফিসাররা। 12 এপ্রিল কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে 5 অভিযুক্ত। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন নিহত তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দু, নিহত তপন কান্দুর ভাই নরেন কান্দু, আশিক খান, কলেবর সিং ও সত্যবান প্রামাণিক। গত 13 জুন পুরুলিয়া জেলা আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করে সিবিআই ।