পুরুলিয়া, 18 জানুয়ারি : সংরক্ষণের জেরে নিজের ওয়ার্ডে লড়তে পারবেন না পুরুলিয়ার দুই পৌরপ্রধান সহ এক উপ পৌরপ্রধান । খসড়া তালিকা অনুযায়ী পুরুলিয়া পৌরসভার 23 টি ওয়ার্ডের মধ্যে শাসক দলের 7 কাউন্সিলরই নিজ আসনে দাঁড়াতে পারবেন না ।
লড়তে পারছেন না পুরুলিয়া ও রঘুনাথপুর দুই পৌরসভার পৌরপ্রধান সহ ঝালদা পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান । পুরুলিয়া পৌরসভার ওয়ার্ডসংখ্যা 23, রঘুনাথপুর পৌরসভার ওয়ার্ডসংখ্যা 13 এবং ঝালদা পৌরসভার ওয়ার্ডসংখ্যা 12 । যার মধ্যে পুরুলিয়া পৌরসভার 23 টি ওয়ার্ডের মধ্যে চেয়ারম্যান সহ 7টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পড়েছেন সংরক্ষণের গেরোয় । পুরুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান শামিম দাদ খান 22 নম্বর ওয়ার্ড, রঘুনাথপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান মদন বরাট 4 নম্বর ওয়ার্ড ও ঝালদা পুরসভার উপ পৌরপ্রধান কাঞ্চন পাঠক 3 নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়তে পারবেন না ।
এই বিষয়ে পুরুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান শামিম দাদ খান বলেন, খসড়া তালিকা অনুযায়ী, 7 জন কাউন্সিলর দাঁড়াতে পারবেন না । তার মধ্যে আমিও আছি । এই 22 নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় আমি আমার জেতা ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে পারব না । আইন আইনের পথ চলবে । তবে নিজের ওয়ার্ডকে সাজিয়ে ছিলাম । তাই একটু অস্বস্তি হচ্ছে । নতুন ওয়ার্ডে লড়ার ক্ষেত্রে একটু অসুবিধা হবে । তাতে তেমন কোনও সমস্যা হবে না । আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি । তৃণমূলের দখলেই থাকবে বোর্ড ।
ভিডিয়োয় শুনুন কাউন্সিলরদের বক্তব্য অন্যদিকে পুরুলিয়া পৌরসভার 1 নম্বর ওয়ার্ডের CPI(M) কাউন্সিলর মিতা চৌধুরি বলেন, "জানি না কোন রোস্টার অনুসরণ করা হয়েছে । ওনারা যেটা ভালো মনে করেছেন তা করেছেন । এবার আমার পার্টিও তা কিছু করবে এটার বিরুদ্ধে । তবে এই ওয়ার্ড ছাড়া আমি অন্য কোনও ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারব না ।" ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ কান্দু জানান, আমাদের সেরকম কোনও সমস্যা নেই । এবার অনেক নতুন মুখ আসতে পারে ঝালদা পৌরসভায় । কেবলমাত্র কাঞ্চন পাঠকের জেতা 12 নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষিত হওয়ায় তিনি সেই ওয়ার্ড থেকে লড়তে পারবেন না । তাই ওই একটি ওয়ার্ড ছাড়া কোনও ওয়ার্ডেই সমস্যা নেই । মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন । এবার পৌরসভার বোর্ড শাসক দলই ধরে রাখবে ।