ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে জয় কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলরের ঝালদা, 16 জানুয়ারি: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভার দখল নিল কংগ্রেস ৷ সোমবার পৌরপ্রধান নির্বাচনে কংগ্রেসের পক্ষেই রায় গিয়েছে ৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এদিন চেয়ারম্যান নির্বাচন ছিল ঝালদা পৌরসভায় । এই নিয়ে এদিন সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল ঝালদা পৌরসভা এলাকায় । এদিন ঝালদার পৌরপ্রধান হিসেবে ফের নির্বাচিত হয়েছেন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় ৷ তাঁর পক্ষে গিয়েছে দুই নির্দল ও পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভোট ৷ তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলররা এদিন পৌরসভায় উপস্থিত থাকলেও ভোটদানে অংশ নেননি (Jhalda Municipality Chairman election) ৷
হাইকোর্টের নির্দেশে ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনকে ঘিরে রবিবার সন্ধ্যা থেকেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসনের মধ্যে ৷ গতকাল সন্ধ্যা থেকে পৌরসভার 200 মিটারের মধ্যে 144 ধারা জারি করা হয়েছিল । সোমবার সকালে পৌরসভায় সময় মতো উপস্থিত হন দুই নির্দল কাউন্সিলর-সহ কংগ্রেস কাউন্সিলররা ৷ শীলা চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে যায় 7টি ভোট ৷ তৃণমূল কাউন্সিলররা এদিন ভোটাভুটিতে অংশ না-নেওয়ায় তাদের ব্যালট ফাঁকাই ছিল ৷ ভোটের ফল হয় 7-0 ৷
আরও পড়ুন:দার্জিলিং পৌরসভায় অনায়াস জয় অনিতদের, নয়া চেয়ারম্যান দীপেন ঠাকুরি
এদিনের চেয়ারম্যান নির্বাচন প্রসঙ্গে ঝালদার 1 নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর বিজয় কান্দু বলেন, "আমরা পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর ও দুই নির্দল কাউন্সিলর এই সাত কাউন্সিলর মিলে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পৌরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করলাম ৷ শাসক দলের কাউন্সিলররা ভোট দেননি ।" এদিন প্রয়াত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর নামে স্লোগানও দেন কংগ্রেস কাউন্সিলররা ৷ জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো জানিয়েছেন, শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তাঁরা খুশি ৷ এবার থেকে নাগরিক পরিষেবা পাবেন ঝালদার মানুষ, যা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ৷ তবে এদিন এসডিপিও-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ৷
অন্যদিকে, ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু জানিয়েছেন, এই জয় সত্যের জয় ৷ তবে তৃণমূলের তরফে এদিনের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ৷ ভোট প্রক্রিয়া নিয়ম মেনে হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের বিদায়ী পৌরপ্রধান সুরেশ অগরওয়াল ৷ বিষয়টি জেলাশাসককে জানিয়েছেন তাঁরা ৷ ঝালদা পৌরসভা নিয়ে একটি মামলা ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন ৷ সেখানে এই নির্বাচনের বিষয়টি তোলে হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে তৃণমূল নেতৃত্বের কথায় ৷