পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Forensic Team in Niranjan Baishnab's House : তপন কান্দু খুনে প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বাড়িতে ফরেনসিক দল - নিরঞ্জন বৈষ্ণব ওরফে সেফাল

ঝালদায় নিরঞ্জন বৈষ্ণব ওরফে সেফালের বাড়িতে পৌঁছে সব দিক ভাল করে পর্যবেক্ষণ করে দেখলেন ফরেনসিক দল ৷ তপন কান্দু খুনের দিন তাঁর সঙ্গেই ছিলেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব ৷ পরে তাঁরও মৃতদেহ উদ্ধার হয় (Forensic in Niranjan Baishnab's House) ৷

Jhalda Niranjan Baishnab House
নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বাড়িতে ফরেনসিক দল

By

Published : Apr 19, 2022, 9:38 AM IST

পুরুলিয়া, 19 এপ্রিল : এবার নিরঞ্জন বৈষ্ণব ওরফে সেফালের বাড়িতে পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় ফরেনসিক বিভাগের দল । সোমবার বিকেলে সেখানে গিয়ে বিভিন্ন বিষয় খুঁটিয়ে দেখেন দলের সদস্যরা । 6 এপ্রিল তপন কান্দু খুনের প্রতক্ষ্যদর্শী তথা বন্ধু নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় । তিনি তপন কান্দু খুনের দিন তাঁর সঙ্গেই ছিলেন ৷ স্বাভাবিকভাবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ একাধিকবার ডেকে পাঠিয়েছিল (Central Forensic Team reaches died Niranjan Baishnab's house in Jhalda Purulia) ।

তপন কান্দুর সঙ্গী তথা ছোটবেলার বন্ধু নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃতেদহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায় ৷ বিপত্নীক সেফালের পরিবারের সদস্য কংগ্রেস নেতা কর্মীদের অভিযোগ, পুলিশি চাপে তিনি আত্মহত্যা করেছেন । এরপর তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য সিবিআই তদন্ত দাবি করে হাইকোর্টের দারস্থ হয় তাঁর পরিবার । বর্তমানে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই ।

নিরঞ্জন ওরফে সেফাল বৈষ্ণবের সুইসাইড নোট :

মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট না হলেও তাঁর স্বাক্ষরিত সুইসাইড নোটে সেফাল লিখেছেন, "যেদিন থেকে তপনের মৃত্যু হয়, সেদিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি ৷ যে দৃশ্যটি দেখেছি তা মাথা থেকে কোনও রকম বার হচ্ছে না ৷ ফলে রাত্রে ঘুম হচ্ছে না, খেতে মন যাচ্ছে না ৷ শুধু ঐ ঘটনাটাই মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে ৷"

এমনকি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ায় পুলিশ তাঁকে বারে বারে ডেকে পাঠাচ্ছিল, সে কথাও তিনি লিখেছেন সুইসাইড নোটে ৷ এতে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ তিনি লিখেছেন, "তারপর পুলিশের বার বার ডাক ৷ আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি ৷ এইসব আমি সহ্য করতে না পারার জন্য আমি এই পথ বেছে নিলাম ৷" অন্য কারও বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কোনও অভিযোগের কথা জানাননি তিনি ৷

আরও পড়ুন : Jhalda Murder Eyewitness Death : তপন কান্দু খুনে প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, সুইসাইড নোটে মানসিক অবসাদের কথা

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পৌরসভা নির্বাচনে ঝালদা পৌরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কংগ্রেস প্রার্থী তপন কান্দু ৷ সেখান থেকে জয়ী হন তপন কান্দু । এরপর 13 মার্চ ঝালদা শহর লাগোয়া গোকুলনগর গ্রামের অদূরে আততায়ীদের ছোড়া গুলিতে খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর । এই ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি । তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের 6 সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট । এখনও পর্যন্ত 4 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ তার মধ্যে রয়েছেন তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু ও তাঁর ছেলে দীপক কান্দু ৷ পারিবারিক চক্রান্তে কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ ৷ তবে এই ঘটনার তদন্তে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ৷

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details