কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: কংগ্রেস কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কেই (Congress councillor Sheila Chatterjee) ফের ঝালদা পৌরসভার চেয়ারপার্সন হিসাবে কাজ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta HC Division Bench) । সিঙ্গল বেঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দুর জায়গায় শীলা চট্টোপাধ্যায় অবিলম্বে চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন । এমনটাই নির্দেশে জানিয়েছে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ বাকি সমস্ত বিষয়ে আগামিকাল সিঙ্গেল বেঞ্চ মামলার শুনানি করে নিস্পত্তি করবে বলেও নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের ।
মামলাকারী সুদীপ কর্মকারের তরফে আইনজীবী সপ্তাংশু বসু বলেন: "কোনও অভিযোগ ছাড়াই সিঙ্গেল বেঞ্চ সুদীপ কর্মকারকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে । আইনভঙ্গ করা হয়েছে তেমন কোন প্রমাণ নেই । তার সত্ত্বেও সিঙ্গেল বেঞ্চ কী করে এই নির্দেশ দেয় !" পূর্ণিমা কান্দুকে নিযুক্ত করার ব্যাপারে তিনি বলেন, "রাজ্য সুদীপ কর্মকারকে নিয়োগ করেছিল পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত । কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চ কোনওরকম কারণ ছাড়াই তাঁকে সরিয়ে পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করেছে ।"
রাজ্যের তরফে আইনজীবী অনির্বান রায় বলেন: "বোর্ড মেম্বারদের মধ্যে থেকে সুদীপ কর্মকারকে ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে সাবডিভিশন অফিসার নিয়োগ করেছিলেন । সিঙ্গেল বেঞ্চ নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে পরাজিত দলের প্রতিনিধি পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করেছে ।"
প্রাক্তন চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী প্রতীক ধর বলেন: "16 জানুয়ারি পৌরসভার ভোটের পর শীলা বিজয়ী হয়ে চেয়ারপার্সন হিসাবে শপথ নেওয়ার 24 ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই সেখান থেকে সরানো হল তাঁকে । আইন বলে যদি চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকে বেশ কিছুদিনের জন্য তাহলে ভোট হতে পারে । কিন্তু সম্পূর্ণ আইন বিরুদ্ধভাবে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে সরানো হয় । চেয়ারম্যান না থাকলে ভাইস চেয়ারম্যানকে নিয়োগ করা যায় । কেন রাজ্য সেখানে প্রশাসক হিসাবে সুদীপ কর্মকারকে নিয়োগ করবে !"