পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Nov 22, 2021, 2:31 PM IST

ETV Bharat / state

Biri Workers of Purulia : 10 বছরেও চালু হয়নি হাসপাতাল, আক্ষেপ পুরুলিয়ার বিড়ি শ্রমিকদের

2006 সালে তাঁদের জন্য বাম সরকারের তরফ থেকে পুরুলিয়ার ঝালদায় একটি হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হয় ৷ এরপর ক্ষমতার পালাবদল ঘটার পর থেকে আজ 10 বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে নির্মীয়মাণ এই হাসপাতাল ৷ এখন কী অবস্থায় রয়েছে সেটি ?

মাঝপথে থেমে পুরুলিয়ায় বিড়ি শ্রমিকদের হাসপাতাল
মাঝপথে থেমে পুরুলিয়ায় বিড়ি শ্রমিকদের হাসপাতাল

ঝালদা, 22 নভেম্বর : পুরুলিয়া জেলায় প্রায় 30 হাজার বিড়ি শ্রমিকের বাস ৷ বাম আমলে 2006 সালে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের বিড়ি শ্রমিকদের জন্য একটি হাসপাতালের অনুমোদন করা হয় ৷ প্রথমে জমি না মিললেও পরে ঝালদার বাসিন্দা সমাজসেবী অনুসূয়া দেবী এই হাসপাতালের জন্য ডুরকু টালি সেন্টারে সাড়ে ন'একর জমি রাজ্য সরকারকে দান করেন । হাসপাতালের বিল্ডিং নির্মাণের জন্য মঞ্জুর হয় প্রায় 8 কোটি টাকা ৷ নির্মাণের কাজও শুরু হয় 2008 সালে ৷ এরপর 2011 সালে বাম আমলের অবসান ঘটে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল ৷ তখন থেকেই পড়ে রয়েছে নির্মীয়মাণ এই হাসপাতাল ৷ প্রায় 10 বছর কেটে গেলেও অসম্পূর্ণ কাজ আর শুরু হয়নি এখানে ৷ ফলে হাসপাতালের ভিতর-সহ চারিদিক জঞ্জাল ও আগাছায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে ৷

এইভাবে হাসপাতালের কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে থাকার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারকেই দায়ী করেছেন বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ভীম কুমার ৷ তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন মহলে চিঠি দেওয়া হলেও কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ৷ পুরুলিয়াতে বিড়ি শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য একটা হাসপাতাল আছে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে ৷ এটি হলে দ্বিতীয় হাসপাতাল হত । এই হাসপাতাল চালু না হলে রাস্তায় নামার হুমকি দেন তিনি ৷

আরও পড়ুন :Purulia : পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে নিত্য যানজট সমাধানে পদক্ষেপ জেলা প্রশাসনের

এবিষয়ে জয়পুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক নরহরি মাহাতো বলেন, "আমরা শীতের পর এই দাবি নিয়ে সুবর্ণরেখা নদী থেকে পুরুলিয়া পদ যাত্রা করব ।" যদিও এই বিষয়ে জানতে চেয়ে পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি ।

যার আমলে ও চেষ্টায় এই হাসপাতাল গড়ে ওঠে সেই প্রাক্তন বাম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া বলেন, "এই হাসপাতালটি বহু কষ্টে তখন ইউপিএ সরকারের কাছে মঞ্জুর করিয়েছিলাম ৷ পুরুলিয়ার ঝালদা এলাকাটি আমার এলাকাও নয়, তবু আমি চেয়েছি ওখানেই হোক ৷ কিন্তু বারবার শ্রম দফতরে চিঠি করেও কোনও উত্তর পাইনি ৷ তবু আমি ছাড়ব না ৷ এখন একটু অসুস্থ আছি, সুস্থ হয়ে আমি আবার চিঠি করব ।"

এই বিষয়ে ঝালদা 2 নম্বর ব্লকের বিডিও অঙ্কিতা উপাধ্যায় বলেন, "ওখানকার মানুষেরা যদিও কোটশিলা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন ৷ তবু আমরা বিষয়টি দেখছি ৷

রাজ্য সরকারের বর্তমানে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সন্ধ্যারাণী টুডু বলেন, "ওই হাসপাতালের কথা আমি জানি ৷ তবে পুরুলিয়াতেও তো হাসপাতালের কাজ চলছে ৷ আমরা বিষয়টি দেখছি ৷"

আরও পড়ুন :Sakuntala Shabor : হিন্দি ভাষায় প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক হলেন পুরুলিয়ার শকুন্তলা শবর

ABOUT THE AUTHOR

...view details