পুরুলিয়া, 11 ফেব্রুয়ারি : শীতের মরশুমে পরিযায়ী পাখিদের এবার সেভাবে দেখা মেলেনি ৷ তবে, শীত শেষের শুরুতে ভিড় দেখা গেল তাদের ৷ পরিবেশ ঠিক থাকলে তাদের আসা-যাওয়াও যে চলবে তাই হয়ত বুঝিয়ে দিল এই সাইবেরিয়ান পাখিরা ৷ পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধ ঝিলে মাঘের শেষে একঝাঁক পরিযায়ী পাখিদের দেখা মেলায় খুশি পাখিপ্রেমীরাও ৷
শীত শেষে পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধে ভিড় পরিযায়ী পাখির
এই মরশুমে সেভাবে দেখা না মিললেও শীত শেষের শুরুতে দেখা মিলল তাদের ৷ পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধ ঝিলে মাঘের শেষে একঝাঁক পরিযায়ী পাখি দেখে খুশি পাখিপ্রেমীরাও ৷
আগে শীতকাল মানেই ছিল পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধ ঝিলে পরিযায়ী পাখিদের ভিড় ৷ কিন্তু বর্তমানে ঝিলের জলে অবিরত নৌকা বিহার, ঝকমকে আলো, ঝিলের পাড়ে রেস্তরাঁ ইত্যাদির কারণে কমেছে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা ৷ আগে রেড ক্রাস্টেড পচার, গার্ডওয়াল, নর্থান সিলভারের মতো 40টিরও বেশি প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসত কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসেই ৷ শীতের শেষ পর্যন্ত তারা থাকত এখানেই ৷ কিন্তু, এবারে তাদের সংখ্যাটা ছিল খুবই কম ৷ মাঝের সময়টিতে একটি পাখিকেও দেখা যায়নি জলে ৷ অবশেষে শীতের শেষে এক ঝাঁক পরিযায়ী পাখির ভিড় চোখে পড়ল সাহেব বাঁধে ৷
পুরুলিয়াবাসী রঘুনাথ সিংদেও জানান, "প্রথমদিকে কিছু পরিযায়ীকে দেখা গেছিল ঝিলে ৷ মাঝে একটিও পাখি ছিল না ৷ অবশেষে শীতের শেষে পাখিদের দেখা মিলল সাহেব বাঁধে ৷ তবে সংখ্যাটা খুবই কম ৷" স্থানীয় বাসিন্দা ভোলানাথ মাঝি বলেন, "বর্তমানে সাহেব বাঁধের প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে ৷ শিকারা বিহার, রাত-দিন আলোর রোশনাই, চারিদিকের ঘিঞ্জি পরিবেশ, গাড়ির আওয়াজের মাঝে পাখিরা থাকতে ভালোবাসে না ৷ তাই শীতের শুরুতে কয়েকটি পরিযায়ী পাখি এসেই চলে গেছিল ৷ শীতকালজুড়ে তাদের আর দেখা পাওয়া যায়নি ৷ এবার শীত শেষ, তাই দেশে ফেরার আগে একবার দেখা দিয়ে গেল পাখিরা ৷"