হলদিয়া, ৪ নভেম্বর : বাড়ি থেকে মাত্র চার মিটার দূরে খালে ঘাসের ঝোপের মধ্যে উদ্ধার হল যুবকের মৃতদেহ ৷ সোমবার সকালে সুতাহাটার হরিণভাষার স্থানীয়রা দেখতে পান মৃতদেহটি ৷ মৃতের নাম সৌরভ দলুই (২৪) ৷
পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, রবিবার রাতভর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি সৌরভের ৷ এমন কী ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে । উৎকণ্ঠায় ছিলেন পরিবারের লোকেরা । সোমবার সাতসকালে বাড়ির অদূরে সেচ খালে উদ্ধার হয় সৌরভের মৃতদেহ । মাথায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করছেন তাঁর পরিবারের লোকেরা । তাঁদের অভিযোগ, বন্ধুরাই ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে সৌরভকে । তারপর মৃতদেহ ফেলে দিয়ে গেছে বাড়ির সামনের খালে । যদিও সোমবার বেলা পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে জানিয়েছেন সুতাহাটা থানার OC চন্দ্রকান্ত সামন্ত । অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে ঘটনার তদন্তে নামে সুতাহাটা থানার পুলিশ ৷ সৌরভের সাত বন্ধুকে আটক করেছে ৷ ওই ৭ জনের সঙ্গেই রামপুর এলাকায় সৌরভ রবিবার রাতে মদের আসর বসিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ ।
OC চন্দ্রকান্ত সামন্ত বলেন, "আটক সাতবন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা করছি । পরিবারের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি ।" পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সৌরভ দলুই পেশায় বেসরকারি সংস্থার একজন কর্মী ছিলেন ৷ তিনি বিবাহিত এবং দেড় মাসের কন্যা রয়েছে তাঁর । পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, রবিবার বিকেলে বাড়িতে বসে টিভি দেখছিল সৌরভ । কয়েকজন বন্ধুর ফোন পেয়ে বিকেল ৪ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি । চৈতন্যপুর যাওয়ার কথা বলেই বেরিয়েছিলেন । সোমবার সকালে দেহ উদ্ধারের পর থেকেই কার্যত আঁধার নেমে এসেছে গোটা পরিবারে । সৌরভের মা বর্ণালী দলুই বলেন, "আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে । ওর বন্ধুরাই পরিকল্পনা করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েই খুন করেছে । খুনিদের শাস্তি চাই আমরা । "
সৌরভের স্ত্রী সুদীপ্তা বলেন, "কারও সঙ্গে ওর শত্রুতা ছিল না । ও বাড়িতেই ছিল । ওকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল বাড়ি থেকে । রাত ১ টার সময় ওর ফোন রিং হয়েছিল । তিনটের পর থেকে ফোন সুইচ বন্ধ ছিল । খুনই করা হয়েছে ওকে । " প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, "সৌরভের মাথায় ছিল গভীর আঘাতের চিহ্ন । এটা খুবই স্পষ্ট যে, তাঁর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের কারণেই রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে তার । "