নন্দীগ্রাম, 9 মার্চ : প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হওয়ার পর প্রথমবার নন্দীগ্রামে নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবারের নির্বাচনে সবথেকে হাই ভোল্টেজ কেন্দ্র নিঃসন্দেহে নন্দীগ্রাম ৷ স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে প্রার্থী ৷ আর তাঁর বিপরীতে বিজেপি শিবির থেকে লড়ছেন, তাঁরই এক কালের রাজনৈতিক সঙ্গী শুভেন্দু ৷
আগের বার যখন নন্দীগ্রামে এসেছিলেন, তখনই জানিয়ে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রাম থেকে তিনি ভোটে লড়বেন ৷ নেত্রী কথা রেখেছেন ৷ বিশ্বস্ত শোভনদেবের হাতে ভবানীপুরের দায়িত্ব ছেড়ে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ছেন ৷ সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলন যে তাঁর বাংলার তখতে আসার সিঁড়ি আরও শক্ত করেছে তা আজ বারবার মমতার বক্তৃতা থেকে উঠে এসেছে ৷ বললেন, "ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম ৷"
এবারের বঙ্গভোট আগের নির্বাচনগুলির থেকে অনেকটাই আলাদা ৷ 30 শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটের উপর এতদিন মমতার একাধিপত্য ছিল বললে খুব একটা ভুল বলা হয় না ৷ কিন্তু এখন তাতেও ভাগাভাগি হচ্ছে ৷ আব্বাস সিদ্দিকী কতটা থাবা বসাবেন মমতার সাধের মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে, তা এখন থেকে বলা মুশকিল ৷ এদিকে বিজেপিও হিন্দুত্ববাদের তাস বের করতে শুরু করেছে বাংলায় ৷ অনেকেই বলছেন বাংলার রাজনীতিতে এখন সাম্প্রদায়িকতার কালো মেঘ ৷ এই পরিস্থিতিতে নিজের ধর্মনিরপেক্ষ ইমেজ তুলে ধরার মরিয়া চেষ্টা দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় ৷ বললেন, "অনেকে ভাগাভাগির কথা বলবেন ৷ আমি 70-30 বলব না ৷ আমি 100 বলব ৷" অর্থাৎ, বারবার বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে তিনি শুধু মুসলিম বা শুধু হিন্দুদের কথা বলেন না ৷ তিনি রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কথা ভাবেন ৷ তাঁর সঙ্গে যেন হিন্দু কার্ড খেলার দুঃসাহস বিজেপি না দেখায়, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়ে গেলেন মমতা ৷