তমলুক, 4 অক্টোবর : কালো পতাকা দেখানো হল BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে । আজ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তমলুকের স্টিমারঘাটে প্রাতঃভ্রমণে যান তিনি । সেই সময় স্টিমারঘাট সংলগ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় থেকে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয় ।
স্টিমারঘাট সংলগ্ন তৃণমূল কার্যালয় থেকে দিলীপ ঘোষকে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি স্লোগানও তোলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা । পালটা "জয় শ্রীরাম" স্লোগান তোলেন BJP কর্মীরা । তমলুক থানার পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি । বলেন, "গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিশৃঙ্খলা চলছে । রাজ্যজুড়ে খুন, ধর্ষণ, লুট চলছে । তৃণমূলের কাছ থেকে মানুষ এর থেকে ভালো কিছু আশা করে না । আমরা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলাম । সেখানে যদি কেউ কালো পতাকা দেখায় তাহলে ভাবতে হবে তার মাথার ঠিক নেই । সরকার নেই, দল নেই তাই মুখ্যমন্ত্রীর মাথার ঠিক নেই, তাঁর ভাইদের কী হবে? যাদের দোকান উঠে যাচ্ছে তারা চেঁচামেচি করছে । যাদের মুখ কালো হয়ে যায় তারা কালো পতাকাই দেখায়।"
তমলুকে প্রাতঃভ্রমণে দিলীপ ঘোষ উত্তরপ্রদেশের গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, "এখানে তো পাড়ায় পাড়ায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে । তৃণমূলের লোকেরা সেই ঘটনা ঘটাচ্ছে তার জবাব কে দেবে ? সেখান থেকে নজর ঘোরানোর জন্য দিদিমণি রাস্তায় নেমেছেন । কতদিন দিদিমণি আর ব্যাটিং করবেন । ওনার আসল চেহারাটা লোকেরা জেনে গিয়েছে । চোরচোট্টা, গুন্ডা, বদমাশ, পকেটমারদের নিয়ে ওঁনার রাজনীতি । সেই রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গের চলবে না এটা উনি বুঝে গেছেন তাই নাটক করছেন । লোকসভা নির্বাচনে লোক তার যোগ্য জবাব দিয়েছে BJP-কে 18টি আসন দিয়ে । আমি বলেছিলাম একুশের সাফ উনিশে হাফ সেটা দেখার জন্য যেন উনি প্রস্তুত থাকেন । "
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন , "উত্তরপ্রদেশ সরকার ওখানকার পুলিশ সুপার, জেলাশাসক, লোকাল IC-কে সাসপেন্ড করেছে । অভিযুক্তরা ধরা পড়েছে । এই ঘটনায় CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে । একজন দায়িত্বশীল সরকারের যা যা করা উচিত তা ওখানে করেছে যোগী সরকার । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এরকম সক্রিয়ভাবে কোনওদিন দেখিনি বরং উনি চাপা দিয়েছেন ।"
দিলীপ ঘোষকে 'কালো পাতাকা' দেখাল তৃণমূল কর্মীরা