মহিষাদল, 9 সেপ্টেম্বর: চোর সন্দেহে নাবালক কে বাড়িতে তুলে এনে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে । প্রমাণ ছাড়াই নাবালককে মারধর করায় পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইয়ের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল যুব তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনাকে ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার গেঁওখালি । পরে মহিষাদল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল বেতকুন্ডু গ্ৰাম পঞ্চায়েত প্রধান মধুমিতা দাস হালদারের ভাই অসীম দাসের বাড়িতে গাড়ি নিয়ে কিছু নির্মাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে যায় এলাকারই নাবালক। তারপরেই অসীম বাবু বাড়িতে নিজের মোবাইল ফোন খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অভিযোগ কেবলমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়েই অসীম দাস ওই নাবালককে বাড়ি থেকে তুলে নিজের বাড়িতে আটকে রেখে মারধর করে । কয়েক ঘণ্টা পরে সেই মোবাইলের খোঁজ বাড়িতেই পাওয়া গেলে নাবালককে ছেড়ে দেন তিনি। বাড়ি ফিরে সমস্ত ঘটনা পরিবারের লোকেদের জানালে এলাকার বাসিন্দারা নাবালককে বিনা দোষে মারধরের অভিযোগ তুলে অসীম দাসের বাড়ি ঘেরাও করে । পরে নাবালকের পরিবারের তরফে মহিষাদল থানায় অভিযোগ করা হলে পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু সকাল নাগাদ ফের অসীম দাসকে ছেড়ে দেওয়া হলে উত্তেজিত হয়ে ওঠে এলাকার বাসিন্দারা। নাবালককে মারধরের অভিযোগে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে যুব তৃণমূল কংগ্রেস গেঁওখালি চৈতন্যপুর রাস্তার ওপর গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । ঘটনাস্থানে মহিষাদল থানার পুলিশ পৌছলে পুলিশকে ঘিরে ধরে ও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা । মৃদু লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
নাবালকের মা রওশনারা বিবির অভিযোগ, আমরা দরিদ্র তাই পরিশ্রম করে খাই । চুরি করিনা । আমার ছেলেকে চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেঁধে মারধর করেছে পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই । বর্তমানে ছেলে হাসপাতালে ভরতি রয়েছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাই।