নন্দীগ্রাম, 14 জুন: পঞ্চায়েতে নির্বাচনে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে দলীয় অফিসে তালা লাগিয়ে দিল খোদ তৃণমূলেরই কর্মী-সমর্থকরা। আর তার থেকেও বড় হয়ে দাঁড়াল শেখ সুফিয়ানকে প্রার্থী করায় চরম ক্ষুব্ধ দলেরই নেতা-কর্মীরা । সুফিয়ান প্রার্থী কেন, প্রশ্ন তুলে নন্দীগ্রাম ব্লক তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে বুধবার দিনভর বিক্ষোভ দেখাল বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। জেলা পরিষদের প্রার্থী নিয়েই অসন্তোষ ছড়িয়েছে দলের অন্দরে । আর যার জেরেই এই বিক্ষোভ বলে জানাচ্ছেন দলের নেতা-কর্মীরা ।
এদিন নন্দীগ্রামের ব্লক তৃণমূলের কার্য়ালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান কর্মী-সমর্থকরা । তৃণমূলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকদের দাবি, জেলা পরিষদ আসনে শেখ সুফিয়ানের বদলে সামসুল ইসলামকে প্রার্থী করতে হবে। এই দাবিতেই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। আর সেই বিক্ষোভকে ঘিরে উত্তেজনাও ছড়ায় এলাকায়। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি ঠেলাঠেলির জেরে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। নন্দীগ্রামের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা অঞ্চল সভাপতি শামসুল ইসলামকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করার দাবিতে তুমুল গন্ডগোল মারপিট ও হাতাহাতি শুরু হয়।
অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনজোয়ারে ভোটাভুটিতে 71 টি ভোট পেয়ে জিতেছিল শামসুল ইসলাম। সুফিয়ান তার চেয়ে অনেক কম ভোট পেয়েছিল। অথচ সম্প্রতি সুফিয়ান উস্মা প্রকাশ করায় বা তাঁর অনুগামীদের বিক্ষোভের কারণে মঙ্গলবার কুণাল ঘোষ তাঁর বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। পরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল শামসুল ইসলামের। কিন্তু এদিন বেলা গড়াতেই দেখা যায় জেলা পরিষদের আসনে শামসুল ইসলামকে বাদ দিয়ে শেখ সুফিয়ানকে তৃণমূলের টিকিটে জেলা পরিষদের প্রার্থী করা হয়েছে। শামসুল ইসলাম কার্যত মনোনয়ন জমা করতে পারবে না । এই অভিযোগ তুলে তুমুল বিক্ষোভ ও গন্ডগোল শুরু হয়েছে।