পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

TMC Factionalism: নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস ঘিরে কুণালের সামনেই প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল - বিজেপি

2007 সালের 10 নভেম্বর সিপিএমের ‘অপরাশেন সূর্যোদয়’ চলাকালীন 10 জন নিখোঁজ হয়ে যান ৷ তার পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) ৷ বৃহস্পতিবার সেই অনুষ্ঠান ঘিরে প্রকাশ্যে চলে চলে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল (TMC Factionalism) ৷

tmc-factionalism-in-front-of-kunal-ghosh-at-nandigram-during-martyrs-day-programme
TMC Factionalism: নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস ঘিরে কুণালের সামনেই প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

By

Published : Nov 10, 2022, 1:12 PM IST

নন্দীগ্রাম (পূর্ব মেদিনীপুর), 10 নভেম্বর: শহিদ দিবস পালন ঘিরে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে (Nandigram) উত্তেজনা ছড়াল ৷ বৃহস্পতিবার সেখানকার সোনাচূড়ায় শহিদ মিনারে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) তরফ থেকে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির কর্মসূচি ছিল ৷ ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল বাঁধে ৷ আর তার জেরেই উত্তেজনা ছড়ায় বলে অভিযোগ ৷

তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হয় ৷ তিনি অবশ্য এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির (BJP) চক্রান্ত রয়েছে বলে মনে করেন ৷ যাঁরা গোলমাল করছিলেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্যই কেউ তোমাদের কি পাঠিয়েছে ?’’

প্রসঙ্গত, সকালে তৃণমূলের উদ্যোগে শহিদ দিবস পালন করা হচ্ছে ৷ দুপুর 3টে নাগাদ নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) শহিদ দিবস পালন করবেন ৷ তাই তৃণমূলের সভা বানচাল হলে শুভেন্দুও সভা করতে পারবেন না বলে নাম না করে কুণাল ঘোষ হুঁশিয়ারি দেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘যদি এই ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকে, বিকেল ৩টের সময় মঞ্চ সমেত উপড়ে ফেলে দিয়ে আসব ।’’

নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সভা ঘিরে উত্তেজনা

প্রসঙ্গত, 2007 সালে নন্দীগ্রাম পুনর্দখলে সিপিএম (CPIM) হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে ৷ পরে নেতারা সেই ঘটনাকে অপরাশেন সূর্যোদয় বলেছিলেন ৷ তৃণমূলের অভিযোগ, সেদিন 10 জন গ্রামবাসী নিখোঁজ হয়ে যান ৷ তার পর থেকে এই দিনটিতে শহিদ দিবস পালন করা হয় ৷ 2019 সাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগেই এই শহিদ দিবস পালন হয়ে আসছে ৷ কিন্তু 2020 সাল থেকে এই অনুষ্ঠানে চিড় ধরতে শুরু করে ৷ গত বছর তৃণমূল ও বিজেপি আলাদা ভাবে শহিদ দিবস পালন করেছিল ৷

এবারও তেমনভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে ৷ সকালে তৃণমূলের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ সেই অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি, নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান-সহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন ৷ এঁদের মধ্যে শেখ সুফিয়ানের মঞ্চে থাকা নিয়ে গোলমাল বাঁধে ৷ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ ৷

তাঁদের প্রশ্ন, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সাংগঠনিক জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান পীযূষকান্তি ভূঁইয়াকে কেন মঞ্চে ডাকা হল না ? কেন শেখ সুফিয়ানের মঞ্চে জায়গা হল ? সামনে কুণাল ঘোষকে পেয়ে তাঁকে ঘিরেই চলতে থাকে বিক্ষোভ ৷ সেই বিক্ষোভের জেরে মঞ্চে প্রায় আধঘণ্টা বসে থাকলেও ভাষণ দিতে পারেননি কুণাল ৷

পরে তিনি বিক্ষোভকারীদের থামাতে রীতিমতো ধমক দেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘অন্তত 30 মিনিট আগে আমি এসেছি । যদি কিছু বলার থাকত আমাকে বলতে পারতে । শহিদদের অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্যই কেউ তোমাদের কি পাঠিয়েছে ? যদি এই ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকে বিকেল ৩টের সময় মঞ্চ সমেত উপড়ে ফেলে দিয়ে আসব । এটা ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভা । এটা কোনও দলের সভা নয় । আর কোনও আওয়াজ নয় । কে কোন পদে গিয়েছে, আপত্তি থাকতে পারে ভাই । তোমাদের আবেদনও থাকবে । তোমাদের আবোদনও আমরা নেতৃত্ব আছি শুনব ।’’

আরও পড়ুন:বিজেপি দরজায় শুভেন্দুকে বেঁধে রেখেছে শুধুমাত্র ঘেউ ঘেউ করার জন্য: কুণাল

ABOUT THE AUTHOR

...view details