চা দোকানিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন যুবকের তমলুক, 23 এপ্রিল: চা দোকানির সঙ্গে বচসা জের ৷ দোকানিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করল গ্রামেরই এক যুবক ! ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার অন্তর্গত শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের শঙ্করখালি গ্রামে। কুশধজ সামন্তের চা'য়ের দোকানে ওই এলাকারই এক বাসিন্দা সীমন্ত পালের সঙ্গে চা খাওয়া নিয়ে বচসা বাঁধে দোকানির। এরপর সীমান্ত পাল নামের ওই যুবক চা দোকানদার কুশধজ সামন্তের পেটে ও বুকে ছুরি দিয়ে কোপ মারতে থাকে ৷
এর ফলে দোকানদার মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তা দেখে তৎক্ষণাৎ তড়িঘড়ি করে কলাঘাটের পাইকপাড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক বছর পঞ্চাশের চা দোকানি কুশধজ সামন্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর শংকরখালি গ্রামের ওই অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ঘিরে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। যার জেরে এলাকায় উত্তেজনা পরিস্থিতির তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় তমলুক থানার পুলিশ ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শেখ সেরাজুল।
এলাকাবাসীদের দাবি, সীমন্ত পাল দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। এর আগেও নিজের বউদিকে বঁটি দিয়ে আঘাত করেছিল। যার জেরে পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছিল। এদিন আবার কুশধজ সামন্তের চায়ের দোকানে এসে বচসা বাঁধায় ৷ এরপরই চায়ের দোকানের মালিককে ধারালো ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে। সীমন্ত পালকে স্থানীয়রাই পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কুশধজ সামন্তের মৃত্যুতে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া ৷
আরও পড়ুন:জোড়া আত্মহত্যায় সুইসাইড নোটে নাম থাকা যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ: দিলীপ
অভিযুক্তের মা জানান, তাঁর ছেলেকে পুুলিশ নিয়ে গিয়ে যেন উপযুক্ত শাস্তি দেয় ৷ এর আগেও এমন ঘটনা সে ঘটিয়েছে ৷ ওর বউদিকে বঁটি দিয়ে কোপ মেরেছিল তারজন্য সে জেলও খেটেছে ৷ অন্যদিকে এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, বেলা দশটার দিকে ওই যুবক এসে দোকানে চা চায় ৷ সেইমতো দোকানির স্ত্রী তাকে চা দেওয়ার জন্য গরম করছিল ৷ সে সময় দোকানের বাইরে বসেছিলেন কুশধজ সামন্ত ৷ আচমকায় তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপ মারতে থাকে ৷