নন্দীগ্রাম, 7 জানুয়ারি: দুই সাল, দুই ভিন্ন জেলা ৷ শুধু তারিখটা এক-7 জানুয়ারি ৷ আজ নেতাই শহিদ দিবস ৷ অন্যদিকে বশ্যতা বিরোধী নন্দীগ্রাম ভূমিরক্ষা আন্দোলনে 2007 সালে শহিদ হয়েছিলেন অনেকে ৷ দুই ঘটনায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নন্দীগ্রামে সকাল সকালে জনসভা করলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari on Netai Sahid Diwas) ৷ ভূমিরক্ষা আন্দোলনে সেদিন শহিদদের মৃতদেহ তিনি কী ভাবে পাঁক থেকে উদ্ধার করেছিলেন, তা স্মৃতিচারণ করে আজকের শাসকদলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা ৷ শনিবার সকালে নামোল্লেখ না করেও তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, "আর এই হালি নেতা-কর্মচারীদের বলি, যদি নন্দীগ্রাম না থাকত তাহলে দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেতেন ৷"
এই প্রসঙ্গে টুইটও করেন শুভেন্দু । তিনি লেখেন "৭ই জানুয়ারি, ২০০৭: শহীদ তর্পণ দিবসে, বশ্যতা বিরোধী নন্দীগ্রাম ভূমিরক্ষা আন্দোলনের অমর শহীদ বিশ্বজিত মাইতি, সেখ সেলিম ও ভরত মন্ডল কে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। ॥ জয় জয় নন্দীগ্রাম ॥ ৭ই জানুয়ারি, ২০১১:- নেতাই গ্রামে গণহত্যায় নিহত শহীদদের আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।" 2011 সালে বামফ্রন্টকে হারিয়ে প্রথমবার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার ৷ এর পিছনে নন্দীগ্রাম ভূমিরক্ষা আন্দোলন তাৎপর্যপূর্ণ ৷ এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু সভামঞ্চ থেকে বলেন, "মানুষগুলো শহিদে হয়ে আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে" ৷ 2011 সালের 7 জানুয়ারি, সকাল 8টা ৷
সেদিনের ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, "আমার বাড়ি থেকে লালগড় প্রায় 200 কিলোমিটারের কাছাকাছি ৷ আমি নিজে পৌঁছেছিলাম 11টার সময় ৷ সেখানে ফুলকোবাড়ি মাইতি, গীতালি আদক, আরতি মণ্ডল, শ্যামানন্দ ঘোড়াই, ধীরেন সেন, ধ্রুব গোস্বামী, সৌরভ ঘোড়াই- এঁদের সব দেহ আমি নিজে তুলেছি ৷" নাম না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে জানান, সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পিসি ভাইপো ভোগ করছেন ৷ এমনকী বামজমানার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, "এদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল বামফ্রন্ট ৷ 34 বছর ক্ষমতায় 235টি আসন ছিল" ৷
আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে নেতাইয়ে ঢুকতে বাধা, ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখতে সময় চাইল রাজ্য