কলকাতা, 13 অক্টোবর: "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানেন না ৷ একটা বন্দর করতে হলে 5 হাজার একর জমি দিতে হয়", এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে তাজপুর বন্দর গড়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "এই বন্দর জীবনে কখনও হবে না" ।
এদিন বিজেপি নেতৃত্ব ও কার্যকর্তাদের সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেন, "শুনুন ফোর লেনের রাস্তা নিয়ে যেতে হবে তাজপুর পর্যন্ত । জায়গা অধিগ্রহণ হয়েছে তো ? রেলের করিডর হয়েছে ? কিচ্ছু হবে না । আদানি টুপি পরিয়েছে । আদানি ঝাড়খণ্ড থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে ফারাক্কাতে । পুলিশকে দিয়ে গ্যাস লাঠিচার্জ করিয়ে গরিব চাষিদেরকে মেরেছে । এমনকী সংখ্যালঘুদেরও প্রায় মেরে মাথা ফাটিয়ে যারা সব ভোট দিয়ে জিতিয়েছে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করিয়েছে । তাঁদের মাথা ফাটিয়ে লিচুবাগান আমবাগান ধ্বংস করে বাংলাদেশে ইলেকট্রিকটা পাঠিয়ে দিয়েছে ।"
তমলুকে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী তিনি আরও বলেন, "ওখানে 5 হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে । আমি খবরের কাগজে দেখছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তাজপুর থেকে মাত্র 4 কিলোমিটার দূরে এক হাজার একর জমি অফার করা হচ্ছে । ওই 4 কিলোমিটার রাস্তা যেতে হলে, ফোরলেন করতে হবে । ওই রাস্তা করতে গেলে জমি অধিকগ্রহণ করতে হবে । আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব আপনি সবজান্তা, সব জানেন । আপনি খেলতেও জানেন, পড়তেও জানেন । ডাক্তারিও জানেন, মন্ত্র উচ্চারণ করতে জানেন এবং নমাজও পড়তে জানেন । আপনাকে আমি বলব সতীশ সামন্ত, বিরাজ মোহন দাস, কুমার চন্দ্র জানা, সুশীল ধারা হলদিয়া বন্দর করার সময় পুরো পাঁচটা গ্রামের জমি নিয়েছিলেন । বোনবিষ্ণুপুর, রাজাচক, রায়রায়চক, বিষ্ণুর রামচক, দত্তের চকের ইতিহাসটা দেখবেন । তাহলেই বুঝবেন একটা বন্দর করতে গেলে কী কী করতে হয় ।"
আরও পড়ুন: তাজপুর বন্দর তৈরির জন্য আদানি গোষ্ঠীর হাতে ইচ্ছাপত্র তুলে দিল রাজ্য সরকার
শুভেন্দুর দাবি, বন্দরের জন্য রেল করিডোর লাগে । ওয়ারহাউস লাগে । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলে, বাজার গরম করছেন । 6 হাজার টাকা প্লেট খাইয়ে বিজয়ার উৎসব করছেন ! আর চাকরি না পাওয়া ছেলেরা গাছের তলায় বসে আছে। তাঁর কথায়, "আমি তদন্ত সংস্থাকে বলছি ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে চিঠি পাওয়া গেছে। তিনি এতদিন বলে এসেছেন পার্থ টাকা নিয়েছেন আমি জানি না। কিন্তু এবার মমতার নামেই চিঠি পাওয়া গিয়েছে । তাই তাঁকে ডেকে বা নবান্নয় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।"