বিজেপি কর্মীকে অপহরণের অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানায় ধরনা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী খেজুরি, 26 নভেম্বর: বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা রুজু করেছে পুলিশ, অভিযোগ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এছাড়া বিজেপি কর্মী রবীন মান্নাকে সাধারণ পোশাকের পুলিশ বাড়ি থেকে থানায় তুলে নিয়ে আসে ৷ এতে পুলিশ তাঁকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক ৷ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারির মেমো দেখতে চান শুভেন্দু ৷ তবে পুলিশ তা না-দেখালে এর প্রতিবাদে শনিবার রাত 10.15 মিনিট থেকে 10.45 মিনিট পর্যন্ত মারিশদা থানায় ধরনা দেন তিনি ৷ পাশাপাশি সোমবার সকাল ছ'টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেজুরি থানা এলাকায় বনধের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু ৷
শনিবার রাতে দাসপুরে দলীয় কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে মারিশদা থানায় গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের রীতিমতো তুলোধুনো করেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ শুক্রবার খেজুরি থানার বাঁশগোড়া বাজারে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের ঝামেলা বাধে ৷ তাতে এলাকার বিজেপি নেতা রবীন মান্নাকে তৃণমূলে কর্মী-সমর্থকরা মারধর করে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপির ৷ এদিকে খেজুরি থানার পুলিশ শনিবার বিকাল চারটে নাগাদ সাধারণ পোশাকে রবীন মান্নাকে থানায় তুলে নিয়ে আসে ৷ কিন্তু পরিবারের সদস্যরা খেজুরি থানায় গেলে তাদের বলা হয় রবীন মান্না সেখানে নেই ৷ এরপর তাঁর পরিবার খেজুরি থানা থেকে হেড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ি-সহ বিভিন্ন থানায় রবীন মান্নার খোঁজ নিতে শুরু করেন ৷ কিন্তু রবীন মান্নাকে কোনও জায়গায় খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ ৷
শেষে রবীন মান্না মারিশদা থানা রয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায় ৷ তখন তাঁর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে হাজির হন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ থানায় ঢুকেই তিনি রবীন মান্নার অ্যারেস্ট মেমো দেখতে চান ৷ তবে অভিযোগ, মারিশদা থানার পুলিশ আধিকারিকরা বিজেপি নেতাকে সেই অ্যারেস্ট মেমো দেখাতে পারেনি ৷ এর প্রতিবাদে শুভেন্দু অধিকারী মারিশদা থানায় ধরনায় বসে পড়েন ৷ শুধু তাই নয়, তিনি পুলিশ আধিকারিকদের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশগুলি পড়ার পরামর্শ দেন ৷ হুঁশিয়ারির সুরেই পুলিশদের বলেন, "রবীন মান্নাকে পুলিশ অপহরণ করেছে ৷ এর বিরুদ্ধে আদালতে যাব ৷"
এই সময় সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "রবীন মান্নাকে পুলিশ অপহরণ করেছে ৷ আমি জানতে চাইলাম, রবীন মান্নাকে লকআপে রেখেছেন ৷ তার অ্যারেস্ট মেমো দেখতে চাই ৷ কিন্তু তাঁরা দেখাতে পারেননি ৷ এর বিরুদ্ধে আমরা আদালতে যাচ্ছি ৷ তার সঙ্গে আগামী সোমবার সকাল ছ'টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেজুরি এলাকায় আমরা বনধের ডাক দিলাম ৷ জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাজারহাট সব বন্ধ থাকবে ৷ 29 তারিখ কলকাতায় কর্মসূচি সফল হওয়ার পর 30 তারিখ 11 টার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খেজুরি থানায় অবস্থান বিক্ষোভ চলবে ৷"
আরও পড়ুন:
- 29 নভেম্বর বিজেপির বিশাল সমাবেশ, ভিডিয়ো বার্তায় যোগ দেওয়ার ডাক শুভেন্দুর
- হেনস্তার অভিযোগ তুলে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী
- মিড ডে মিল দুর্নীতিতে জেলে যাবেন মমতা, দাবি শুভেন্দুর