পাঁশকুড়া, 15 জুন : নমুনা পরীক্ষার পরের দিনই রিপোর্ট পেয়ে গিয়েছিলেন ৷ জানতে পেরেছিলেন তাঁরা কোরোনা পজ়িটিভ ৷ তবে, তাঁদের কোনও উপসর্গ নেই ৷ কিন্তু তারপরও চেন্নাই থেকে বিমানে প্রথমে দমদম বিমানবন্দর পৌঁছান ৷ তারপর সেখান থেকে গাড়ি করে পূর্ব মেদিনীপুর পৌঁছালেন দুই যুবক ৷ ইতিমধ্যে তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে ৷ তবে, এই ঘটনাটি নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁর অভিযোগ, রাজ্যকে বিপদে ফেলতে ইচ্ছা করে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই কাজ করা হয়েছে ৷ একইসঙ্গে তিনি ICMR ও বিমানবন্দরের বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ তুলেছেন ৷
কোরোনা আক্রান্ত ওই দুই যুবক পূর্ব মেদিনীপুরের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাসিন্দা ৷ এই দুই যুবক-সহ মোট নয়জন কাজের সূত্রে চেন্নাই গিয়েছিলেন ৷ এরপরে লকডাউন শুরু হয় ৷ তাই সেখানে আটকে পড়েন তাঁরা ৷ পরে লকডাউনের নিয়ম শিথিল হতেই এই দুই যুবক বাড়ি ফিরতে চান ৷ তাই 12 জুন নিজেদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করান ৷ 13 জুন তাঁদের পরীক্ষার রিপোর্ট দিয়ে দেওয়া হয় ৷ তাতে দেখা যায়, ওই দুই যুবক কোরোনায় আক্রান্ত ৷ নিয়ম অনুযায়ী, তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা উচিত ৷ কিন্তু বাস্তবে তাঁরা রিপোর্ট পাওয়ার পরের দিনই চেন্নাই থেকে ইন্ডিগোর একটি বিমানে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন ৷ 14 জুন তাঁরা কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সেখানে থেকে গাড়ি করে পূর্ব মেদিনীপুর পৌঁছান ৷ তারপর বড়মা কোভিড হাসপাতালে গিয়ে জানান, তাঁরা কোরোনায় আক্রান্ত ৷