নন্দকুমার, 10 জানুয়ারি: মধ্যযুগীয় বর্বরতা! গ্রাম কমিটির মাতব্বরদের ফতোয়া, দিতে হবে কয়েক লক্ষ টাকা জরিমানা (Arbitration Meeting in Nandakumar)। সঙ্গে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে গ্রাম ছাড়তে হবে। সালিশি সভার নামে গৃহবধূর কপালে জোটে মারধর। এমনকী রাতের অন্ধকারে বেআইনিভাবে করানো হয় ডিভোর্স। ন্যায় বিচারের আশায় পুলিশের দ্বারস্থ গৃহবধূ। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার চুনাখালি গ্রামে।
গত 10 বছর আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের চুনাখালি গ্রামের ক্ষুদিরাম শাসমলের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্যামলী শাসমলের সঙ্গে। তাঁদের তিনটি কন্যা সন্তানও রয়েছে । অভাবের সংসার থাকার কারণে বিয়ের পর ক্ষুদিরাম তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কাজের জন্য ওড়িশায় চলে যান। অভিযোগ, শ্যামলীর সঙ্গে অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে ক্ষুদিরাম তাঁকে প্রতিনিয়ত মারধর করতেন। তারপরেই শ্যামলী ফিরে আসেন বাপের বাড়িতে। স্বামীর ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। তারপর ক্ষুদিরাম নিজেই গ্রামের মাতব্বরদের জানান সব ঘটনা।
গ্রামে শ্যামলী ফিরতেই গ্রামের মাতব্বরদের ফতোয়া জারি হয় শ্যামলীর ওপর। গ্রামের মাতব্বররা বলেন, "শ্যামলীর নামে যে জমি রয়েছে, তা স্বামীর নামে করে দিতে হবে। তার সঙ্গে মেয়ের বাপের বাড়ি থেকে শ্যামলীর স্বামীকে 4 লক্ষ টাকা দিতে হবে ৷ এখানেই শেষ নয়, ক্ষুদিরামকে ডিভোর্স দিতে হবে, সঙ্গে গ্রাম কমিটিকে দিতে হবে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও।" মঙ্গলবার সালিশি সভায় শ্যামলীকে ডেকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। গ্রাম কমিটির সদস্য তথা শ্যামলীর স্বামী কার্যত স্বীকারও করেছেন সেকথা।