পাঁশকুড়া, 26 এপ্রিল : পূর্ব মেদিনীপুরে কোরোনায় আক্রান্ত আরও এক । পাঁশকুড়ার বাসিন্দা এক মহিলার শরীরে কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়েছে । কলকাতার MR বাঙুর হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে । এদিকে, কলকাতায় স্থানান্তরিত হওয়ার আগে যে নার্সিংহোমে তাঁর চিকিৎসা চলছিল সেখানকার সমস্ত রোগীকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে । নার্সিংহোমের প্রত্যেকেই কোয়ারানটিনে রয়েছেন ।
পাঁশকুড়া থানা এলাকার 52 বছর বয়সি ওই মহিলা গত রবিবার তমলুকের একটি নার্সিংহোমে ভরতি হন । রক্তবমি হচ্ছিল বলেই হাসপাতালে ভরতি হন তিনি । এরপর নার্সিংহোমের তরফে তাঁর রক্ত পরীক্ষা করা হয় । রবিবার তাঁর আরও কিছু শারীরিক পরীক্ষা হয় নার্সিংহোমের ক্লিনিকে । সেদিনই মহিলার লালরস পরীক্ষা করানোর জন্য ক্লিনিক থেকে পরামর্শ দেওয়া হয় । এদিকে, তাঁর শারীরিক অবস্থাও খারাপ হতে থাকায় তড়িঘড়ি তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় ।
মহিলাকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে MR বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করা হয় । তাঁর সোয়াবের রিপোর্টে কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে । গতরাতেই রিপোর্ট হাতে পায় MR বাঙুর । তারপর রাতেই প্রশাসনের তরফ থেকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে বলা হয় , রোগীদের ছুটি করে দিতে । আর যদি খুব অসুস্থ থাকে, তাহলে তাঁদের তমলুক জেলা হাসপাতালে ভরতি করাতে নির্দেশ দেয় । নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ দু'জনকে সেইমতো তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন । আর বাকিদের ছুটি করে দেন ।
এবিষয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে উত্তম করন বলেন, "19 তারিখে ওই মহিলা রক্তবমির সমস্যা নিয়ে নার্সিংহোমে ভরতি হন । তারপর 6 বছরের কিছু পুরানো রোগের সমস্যা দেখা দিতে থাকে । আমরা বিভিন্ন পরীক্ষা করাই । ক্লিনিক থেকে তাঁর কোরোনা পরীক্ষা করার জন্য বলা হয় । আমরা তড়িঘড়ি কলকাতায় স্থানান্তরিত করি । কয়েকজন রোগীকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । তার সঙ্গে কয়েকজনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে ।"
এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, "CMOH অফিস থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয়, আপনার এলাকায় এইরকম ঘটনা ঘটেছে। তারপর আমি নার্সিংহোমে যাই । কর্তৃপক্ষকে বলি, রোগীদের ছুটি দিয়ে দিতে । নার্সিংহোমে সব স্টাফকে হোম কোয়ারানটিনে থাকতে বলা হয়েছে ।"