পাঁশকুড়া , 18 সেপ্টেম্বর : দোকানে ধার বেড়ে গিয়েছিল । আর তা শোধ করার জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল দোকানদার । তাই তাঁকে শায়েস্তা করতেই অনলাইনে ভিডিয়ো দেখে জোড়া ID বিস্ফোরকের মতো বিস্ফোরক বানিয়ে ছিল অভিযুক্ত । দোকানে জিনিস কিনতে এসে সেগুলি সে অভিনব কৌশলে রেখে গিয়েছিল গুদাম ঘরে । তারপর দোকান মালিককে ফোনে জানিয়েছিল , গুদামে টাইমবোমা রাখা রয়েছে । পাঁশকুড়ার সেরহাটি বাজারের বোমাতঙ্কের তদন্তে নেমে ঘটনার কিনারা করল পুলিশ । ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পঁচিশ বছরের যুবক আসানুর আলি-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
উল্লেখ্য , গতকাল ইমারত সামগ্রীর একটি গোডাউনে মজুত দুটি ইলেকট্রনিক সার্কিটের জেরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল পাঁশকুড়ায়। সেরহাটি বাজারে ওই ইমারত সামগ্রীর দোকানের মালিকের নাম কার্তিক গাঁতাইত ৷ গতকাল বিশ্বকর্মা পুজো থাকায় সকাল থেকে দোকানে তেমন ভিড় ছিল না ৷ তবে আজ ওই সময় দোকানে ছিলেন কার্তিকবাবুর ছেলে রজত গাঁতাইত ৷ তখনই পাশের গ্রামের এক যুবক দোকানে এসে অনেক টাকার দ্রব্য সামগ্রীর অর্ডার দেয় ৷ অর্ডার অনুযায়ী দ্রব্য দোকানে মজুত না থাকায় পাশেই গোডাউনে সেই দ্রব্য আনতে যায় ওই দোকানের কর্মী ৷ তারপর সেই দ্রব্য নিয়ে চলে যায় ওই যুবক ৷ এই ঘটনার প্রায় আধঘণ্টা পরে ওই দোকানের মালিক কার্তিক গাঁতাইতের ফোনে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে । এবং তাঁকে জানানো হয় দোকানে বোমা লাগানো হয়েছে ৷ রজতকেও ফোন করে একই কথা জানানো হয় ৷ এরপরই পাঁশকুড়া থানায় বিষয়টি জানান তাঁরা ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে আজ ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল কুমার যাদব জানান , পাঁশকুড়ার বোমা-কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । আসানুর আলি নামের ওই যুবকের বাড়ি পাঁশকুড়ার রামগড়ে । হায়দরবাদে মার্বেল মিস্ত্রির কাজ করত সে । লকডাউনে বাড়ি ফিরেছিল । কার্তিক গাঁতাইতের দোকান থেকে সে ধারে ইমারত সামগ্রী কিনেছিল । ধার শোধের চাপ দিচ্ছিলেন দোকানদারের ছেলে রজত । তাই ভয় দেখানোর জন্যই এই কান্ড ঘটিয়েছিল সে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তের থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে ।