মেচেদা, 6 জানুয়ারি : মিষ্টির দোকানের ছানা কাটানো গরম জলের পাত্রে পড়ে গিয়েছিল সাড়ে চার বছরের অঙ্কিতা গোস্বামী ৷ ঘটনাটি ঘটে গত 31 ডিসেম্বর ৷ স্থানীয় নার্সিংহোম থেকে কলকাতার সরকারি হাসপাতাল ঘুরেও বাঁচানো গেল না শিশুটিকে ৷ বুধবার রাতে মৃত্যু হয় অঙ্কিতার ৷ বৃহস্পতিবার সকালে সেই মিষ্টির দোকানে এসে ভাঙুর চালান তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা ৷ অঙ্কিতার মৃত্যুর জন্য ওই মিষ্টির দোকানের মালিক ও কর্মচারীদেরই দায়ী করেছেন তাঁরা ৷ অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে ছোট্ট অঙ্কিতাকে ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানা এলাকার মেচেদার ঘটনা (Mecheda Child Death) ৷
আরও পড়ুন :Child death : জলপাইগুড়িতে শিশু মৃত্যু নিয়ে সরকারি তথ্যে বিভ্রান্তি
অঙ্কিতার বাবা অর্ণব গোস্বামী পেশায় গাড়িচালক ৷ এদিন তিনি জানান, গত 31 ডিসেম্বর ওই মিষ্টির দোকানের সামনেই রাস্তায় খেলা করছিল তাঁর মেয়ে ৷ সেই সময়েই দোকানের বাইরে রাখা গরম জলের পাত্রে পড়ে যায় সে ৷ প্রাণ দিয়ে যার খেসারত দিতে হয় অঙ্কিতাকে ৷ অর্ণবের প্রশ্ন, বাচ্চারা যে পার্কে খেলতে আসে, কেন তার বাইরে এভাবে গরম জলের পাত্র রাখা হবে ? কেনই বা দোকানের কাজে রাস্তা ব্যবহার করবেন কর্মচারীরা ? এমনকী, 31 ডিসেম্বরের ওই ঘটনার পর দোকানের কর্মচারীরা কেউ সাহায্যের জন্যও এগিয়ে আসেননি বলে দাবি অর্ণবের ৷
শিশুর মৃত্য়ুর পর মিষ্টির দোকানে ভাঙচুর পরিবারের সদস্যদের ৷ আরও পড়ুন :Malda Child Death : অবরোধে বালকের মৃত্যু, প্রতিবাদে সোচ্চার মালদার গ্রাম
অন্যদিকে, এলাকারই এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, অঙ্কিতার সঙ্গে যা হয়েছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ৷ কিন্তু এটি একটি দুর্ঘটনা বলে দাবি করেন ওই ব্যক্তি ৷ বৃহস্পতিবার ওই মিষ্টির দোকানে এসে চড়াও হন অঙ্কিতার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা ৷ দোকান ভাঙচুর করেন তাঁরা ৷ সেইসঙ্গে, এলাকার কয়েকজন বাসিন্দাকেও কাঠগড়ায় তোলেন মৃত শিশুর বাবা ও তাঁদের এক আত্মীয় ৷ তবে এই নিয়ে মিষ্টির দোকানের মালিক বা কর্মচারীরা কেউ মুখ খোলেননি ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোলাঘাট থানার পুলিশ ৷