পরিযায়ী শ্রমিকের হাতে খুন ব্যক্তি

নন্দকুমারের ডিহিগুমাই গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত তন্ময় কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকত । দিন সাতেক আগেই সে নিজের বাড়িতে ফিরেছিল ।

নন্দকুমার, 1 জুন : ভিন রাজ্য থেকে কিছুদিন আগেই বাড়ি ফেরে তন্ময় বেরা । কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী হোম কোয়ারানটিনে না থেকে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তিনি । আর তার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মারধর । মারধরের ঘটনায় অশোক বেরা (42) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার ডিহিগুমাই গ্ৰামে । পুলিশ ইতিমধ্যেই ভিন রাজ্য থেকে ফেরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে ।

নন্দকুমারের ডিহিগুমাই গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত তন্ময় কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকত । দিন সাতেক আগেই সে নিজের বাড়িতে ফিরেছিল । জেলা জুড়ে ইতিমধ্যেই বহু পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে কোরোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে । নন্দকুমার এলাকার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা ঘটেনি । কিন্তু সরকারি নির্দেশিকার তোয়াক্কা না করে রবিবার বিকেল থেকেই এলাকায় ঘুরে বেড়ানো শুরু করে ওই অভিযুক্ত । সেই সময়েই স্থানীয়দের সঙ্গে তার বচসা বাধে । ঘটনায় গুরুতর জখম হন অশোক বেরা । তমলুক জেলা হাসপাতালে ভরতি থাকার পর সেখানেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বচসা চলাকালীন উত্তেজিত হয়ে তন্ময় একটি বাশের টুকরো দিয়ে অশোকবাবুর মাথায় সজোরে আঘাত করে । হামলায় মাথায় আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অশোকবাবু ও গঙ্গা বেরা নামে অন্য এক প্রতিবেশী মহিলা । অশোকবাবুর চোট গুরুতর হওয়ায় রাতেই তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । জখম মহিলাকে ভরতি করা হয় স্থানীয় নন্দকুমার প্রাথমিক হাসপাতালে । প্রাথমিক চিকিৎসার পর মহিলা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও ক্রমশ অবস্থা সংকটজনক হতে থাকে অশোকবাবুর । এরপর আজ সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় অশোকবাবুর । ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে নন্দকুমার থানার OC গোপাল পাঠক জানিয়েছেন, "ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । তমলুক জেলা হাসপাতালে দেহের ময়না তদন্তের প্রক্রিয়া চলছে । ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তন্ময়ের বিরুদ্ধে 302 ধারায় খুনের মামলা দায়ের হয়েছে ।"