তমলুক, 10 অগাস্ট : মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষণের দু'বছর পর গ্রেপ্তার অভিযুক্ত । পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের ঘটনা । ধৃতের নাম শেখ মতিন । তমলুক আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন । তার বিরুদ্ধে POCSO আইনে মামলা রুজু হয়েছে ।
মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ২ বছর পর ধৃত ধর্ষক - রেপ
মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষণের দু'বছর পর গ্রেপ্তার অভিযুক্ত । পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের ঘটনা । ধৃতের নাম শেখ মতিন । তমলুক আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন । তার বিরুদ্ধে POCSO আইনে মামলা রুজু হয়েছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি বছর দুয়েক আগের । মানসিক ভারসাম্যহীন ওই কিশোরী একটি হোমে থাকেন । সে এখন এক কন্যা সন্তানের মাও । মামাবাড়িতে থাকত ওই কিশোরী । মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় বাড়ি থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াত । যার সুযোগ নিয়েছিল অভিযুক্ত মতিন । কিশোরীকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছিল সে । ধর্ষণের জেরে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে কিশোরী । স্থানীয়দের নজরে পড়ে তার শারীরিক পরিবর্তন । প্রশাসনের নজরে বিষয়টি আনেন তাঁরা । এরপর জেলা শিশু সুরক্ষা দপ্তর ও পুলিশের উদ্যোগে হোমে পাঠানো হয়েছিল নির্যাতিতাকে । পাশাপাশি অভিযোগ জমা পড়েছিল মতিনের বিরুদ্ধে । অভিযোগ জমা পড়তেই পালিয়ে যায় মতিন । এরই মধ্যে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় কিশোরী এরপর নাবালিকার বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ । অবশেষে দুই বছর পর সূত্রের খবর পেয়ে মতিনকে গ্রেপ্তার করে তমলুক থানার পুলিশ ।
হোমের সুপার স্বাগতা চক্রবর্তী বলেন, "হোমে আসার পর বিভিন্নভাবে কিশোরীর কাউন্সেলিং করে আমরা অভিযুক্তের নাম জানতে পারি । তারপরই হোমের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল ।"