পাঁশকুড়া, 6 মে : হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ে অ্যামেরিকার কার্নিভাল ক্রুজ় সংস্থায় শেফ পদে কাজে যোগ দিয়েছিলেন । প্রথম দফায় সংস্থার সঙ্গে চুক্তি শেষের পর অ্যামেরিকা থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। তিনমাস পর ফিরে গিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোরোনা পরিস্থিতির জেরে সেখান থেকে আর ডাক পাননি পাঁশকুড়ার যুবক কার্তিক মাইতি । পরিবারের কথা ভেবে এখন শুরু করেছেন সবজি ব্যবসা । সৎ পথে থেকে জীবনের নতুন লড়াই শুরু করে খুশি কার্তিক ।
দরিদ্র পরিবার। তারমধ্যেই কার্তিক পড়াশোনা চালিয়েছেন । বাবা -মা বিড়ি বাঁধার কাজ করেন । উচ্চমাধ্যমিকের পর তাই স্থানীয় একজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়েন তিনি । এরপর চাকরিও মেলে অ্য়ামেরিকায় । কার্তিক ভেবেছিলেন, চাকরি করে ধারের পুরো টাকা শোধ করে দেবেন। কিন্তু 10 মাস পরই চুক্তি শেষ হয়ে যায় । ছুটিতে বাড়ি ফেরেন তিনি । যা টাকা নিয়ে ফিরেছিলেন তা দিয়ে কিছুটা ধার শোধ হয় । কথা ছিল, তিন মাস পর ফের ফিরে গিয়ে ওই সংস্থায় কাজে যোগ দেবেন । কিন্তু কোরোনার জেরে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে । তার উপর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি সংস্থাটিও । ফলে অনিশ্চয়তায় ছিলেন তিনি । এদিকে দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় লকডাউনও বাড়ছে । বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের কোনও হোটেলেই কাজে যোগ দেওয়া সম্ভব নয় । যে টাকা নিয়ে ফিরেছিলেন তাও শেষ । এই সবের মাঝে পড়েই সংসার চালাতে সবজি বিক্রি করছেন তিনি ।