তমলুক, 24 অগস্ট:তন্ত্র সাধনার জন্য় যুবতী হত্যার দায়ে অপরাধীর সাজা ঘোষণা করল তমলুকের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট ৷ বুধবার সাজা ঘোষণা করেছেন তমলুকের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক অভিজিৎ ঘোষ ৷ তন্ত্রসাধক রামপদ মান্না, যুবতির পরিবারের দুই সদস্য পূর্ণিমা বিশ্বাস এবং টুকটুকি সরদারের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে আদালত ৷
2016’র 15 অক্টোবর ৷ পূর্ব-মেদিনীপুরের তমলুক থানার গড়কিল্লা গ্রামের চণ্ডীচরণ মান্নার পানের বোরোজে এক যুবতির মুণ্ডহীন নগ্ন দেহ উদ্ধার করেছিল তমলুক থানার পুলিশ । দেহ উদ্ধার হলেও মৃতের পরিচয় জানা যায়নি । তদন্তে নেমে পুলিশ মৃতের পরিচয় জানতে পারে ৷ মৃতের নাম পার্বতী সরকার (31) ৷ তিনি কলকাতার বাগুইআটি এলাকার বাসিন্দা ৷ যুবতীর পরিবারের লোক জনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ গিয়ে জানতে পারে পার্বতী সরকারের সঙ্গে তমলুকের রামপদ মান্না প্রেমের সম্পর্ক ছিল । প্রেমের টানে রামপদে বাড়িতে চলে এসেছিলেন ওই যুবতী ৷ এরপরেই রামপদকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপদ মান্না তমলুক থানার গড়কিল্লা গ্রামের বাসিন্দা । ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে ঘটনার দিন রাতে ওই যুবতীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছিল ৷ এরপরেই 'সিদ্ধিলাভের' আশায় গভীর রাতে বাড়ির অদূরে একটি পানের বোরোজে পার্বতীকে হত্যা করে ৷ মুণ্ড কেটে মৃত নগ্ন দেহে সিঁদুর লেপে 'তন্ত্রসাধনা' শুরু করেছিল । সকাল হতেই পান বরোজের মধ্যে যুবতীর মৃত্যু ও নগ্ন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল । খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে । তদন্তে মেনে পুলিশ রামপদকে আটক করে জেরা শুরু করে । জেরা করে ওই যুবতীর পরিবারের দুই সদস্যের যোগ সাজেশ পায় ৷ রামপদ-সহ পূর্ণিমা বিশ্বাস এবং টুকটুকি সরদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন:নাবালিকা সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ব্যক্তির
তাদেরকে জেরা করে জানা যায়, সিদ্ধি লাভের জন্য পার্বতীকে কলকাতা থেকে তমলুক নিয়ে আসার জন্য সাহায্য করেছিল এই দুই মহিলা । পুলিশি তদন্তে উঠে সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই ওই দুই মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত ৷ যদিও আসামি পক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার সামন্ত বলেন, "ঘটনায় তিনজনের সাজা ঘোষণা হলেও এটা নিয়ে আমরা হাইকোর্টে যাব ।"