পাঁশকুড়া, 12 ফেব্রুয়ারি : আজ বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (CCU)-এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু দীর্ঘ ছ'মাস ধরে সেই হাসপাতালে নেই কোনও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ । স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, 300 শয্যার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চালাতে গেলে কমপক্ষে 80 জন চিকিৎসকের প্রয়োজন ৷ কিন্তু পাঁশকুড়া হাসপাতালে রয়েছেন মাত্র 25 জন চিকিৎসক ৷ তাই কেবলমাত্র পরিকাঠামো তৈরি করে কী লাভ ৷ চিকিৎসকই যদি হাসপাতালে না থাকে তাহলে পরিষেবা পাওয়া যাবে কীভাবে ৷ প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা ৷
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, 2016 সালের 11 ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরসহ একাধিক জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী জেলায় জেলায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন করেছিলেন । পাঁশকুড়াও পেয়েছে 300 শয্যার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল । হাসপাতলে ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে দামী মেশিনপত্র ৷ কিন্তু সে সব হাসপাতলে কেবলমাত্র শো পিস হয়েই পড়ে রয়েছে । কয়েকটি বিভাগ চালু করা গেলেও দীর্ঘ চারবছর পরেও চালু করা যায়নি একাধিক পরিষেবা ।
আজ বাঁকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দশ শয্যার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের উদ্বোধন করেন । এই উপলক্ষে পাঁশকুড়াতেও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে অনুষ্ঠানমঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল, সভাধিপতি দেবব্রত দাস, পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্রসহ অন্যরা ৷ মঞ্চ থেকে প্রায় সব আধিকারিকরাই সাধারণ মানুষকে সঠিকভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দেন । কিন্তু পরিষেবা যিনি দেবেন সেই চিকিৎসকই যদি অপ্রতুল হয়, তাহলে মানুষ পরিষেবা পাবে কীভাবে, প্রশ্ন সাধারণ মানুষের ৷