পটাশপুর, 19 অগস্ট : পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষি নির্ভরশীল জেলা। এই জেলায় ফুল,সবজি,পান সহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদিত হয়ে থাকে। চাষ করতে গিয়ে ফসলের যেমন রোগ সমস্যা থাকে, তেমনই অনাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক হারে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় চাষিদের। আবার অনেক জায়গায় হনুমানের উপদ্রবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
কারণ হনুমানেরা কখনও ফসল বা সবজি খেয়ে ফেলে ৷ আবার ফসল তছনছ করে দেয় ৷ যার জেরে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন চাষিরা ।
এছাড়া হনুমানকে তাড়া করতে গিয়ে রামভক্তদের হাতে আক্রান্তও হতে হয় কৃষকদের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর 1 নম্বর ব্লকে প্রতিবছর হনুমানের তাণ্ডবে ব্যাপক সবজি ও ফসল নষ্ট হয় । ফলে কৃষকদের একেবারে দিশেহারা অবস্থা।
আরও পড়ুন : Contai Municipality : কাঁথির উন্নয়নের দায়িত্বে এবার অন্য ‘অধিকারী’
বহুবার কৃষকরা বন দফতর ও কৃষি দফতরকে হনুমানের তাণ্ডবের বিষয়টি জানিয়েছেন ৷ এমনিতেই হনুমান নিধন করা আইনত অপরাধ ৷ তাই বন দফতরের কর্মীরাও চিন্তায় ছিলেন কীভাবে কৃষকদের রক্ষা করা যায়।
পাশাপাশি কৃষি দফতরের আধিকারিকরা কোনও মিটিং কিংবা এলাকা পরিদর্শন করতে এলে, কৃষকদের কাছে একটাই অভিযোগ পেতেন, হনুমানের হাত থেকে ফসল রক্ষা করা যাবে কীভাবে ?
এই পরিস্থিতিতে পটাশপুর 1 নম্বর ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা স্নিগ্ধা মণ্ডল এক অভিনব পন্থা বের করেছেন। যা বিদেশি প্রযুক্তিতে হনুমানদের জমি থেকে তাড়ানোর জন্য বিশেষ সাউন্ড সিস্টেম ৷ যার নাম ‘মানকি রিপিল্যান্ট সিস্টেম’ (Monkey Repellent System) ৷ এটিকে কৃষিক্ষেতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।