Congress Agitation: নেতাদের গায়ে কালি, প্রকাশ্যে কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল

আবারও প্রকাশ্যে কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল ৷ শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের কংগ্রেস নেতা সাব্বির হোসেন । তাঁরই অনুগামীরা তমলুকে বৈঠক চলাকালীন কংগ্রেস নেতাদের গায়ে কালি ছিটিয়ে দেন বলে অভিযোগ ।

কোলাঘাট, 20 সেপ্টেম্বর: দলবিরোধী কাজ করার জন্য দল থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের কংগ্রেস নেতা সাব্বির হোসেনকে । তমলুকে বৈঠক চলাকালীন সেই নেতার অনুগামীরা কংগ্রেস নেতাদের গায়ে কালি ছিটিয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠল । বৈঠক ভন্ডুল করে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ৷

দলবিরোধী কাজের অভিযোগে কোলাঘাটের ব্লক কংগ্রেস নেতা সাব্বির হোসেনকে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ নেতৃত্বের সম্মতিক্রমে বহিস্কার করা হয় । সেই বহিষ্কারের পর থেকেই এই ব্লক নেতা বার বার তাঁকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানালেও জেলা কংগ্রেস তাদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল। এ দিনের ঘটনায় আর ওই ব্লক নেতাকে দলে ফেরানোর আর কোনও সম্ভবনা থাকল না বলেই মনে করা হচ্ছে ।

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, তমলুকের জেলা পার্টি অফিসের সামনে একটি সভাগৃহে কোলাঘাটের ব্লক সভাপতি সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপ-সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে এদিন একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল । গতকাল সকাল প্রায় দশটা নাগাদ এই বৈঠক শুরু হয় । সভাগৃহে উপস্থিত ছিলেন জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্লক থেকে আসা প্রায় জনা পঞ্চাশেক নেতাকর্মী । কিছুক্ষণ বৈঠক চলার পর আচমকাই সেখানে হামলা চালান কোলাঘাটের দলীয় কিছু বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থক ।

নেতাদের গায়ে কালি, প্রকাশ্যে কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল

অভিযোগ, প্রায় 20 জন বিক্ষোভকারী 'জাতীয় কংগ্রেস জিন্দাবাদ' এবং সেইসঙ্গে 'সাব্বির হোসেন জিন্দাবাদ' এই ধ্বনি তুলে সভাগৃহে প্রবেশ করে এবং সেখানেই জেলা নেতৃত্বকে তীব্র ভাবে হেনস্তা করা হয় । তখনই জেলার বিভিন্ন নেতার গায়ে কালি ছিটিয়ে দেন উত্তেজিত কংগ্রেস সমর্থকরা ।

জেলা কংগ্রেস সভাপতি মানস করমহাপাত্র বলেছেন, "গত 21-এর বিধানসভা ভোটে নির্দল হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সাব্বির হোসেন ৷ তাই তাঁকে দল থেকে বরখাস্ত করার জন্য আমরা আজ জেলা কমিটির বৈঠক ডেকেছিলাম । সেই বৈঠক চলাকালীন সাব্বির হোসেনের অনুগামীরা এসে হেনস্তা করে আমাদের । ঘটনার সমস্ত কিছু রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে ।" যদিও এ ব্যাপারে সাব্বির হোসেনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।

মানস করমহাপাত্র আরও বলেন, "করোনা আবহে আমরা সে ভাবে জেলা কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠক করতে পারিনি । যদিও ছোট আকারে আগে দু'বার বৈঠক করা হয়েছিল । এ দিন সকাল 11.30 নাগাদ কয়েকজন কংগ্রেস কর্মী আমাদের দফতরে আসেন এবং হৈ-হট্টগোল করতে থাকেন । আমরা তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাঁরা কথা না-শোনার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হয়ে এসেছিলেন । শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য 27 মার্চ বহিস্কার করা হয় সাব্বির হোসেনকে ৷ সেই নিয়ে আমাদের দলের সহ-সভাপতি মদনমোহন জানার প্রতি ক্ষোভপ্রকাশ করার জন্যই এ দিনের এই ঘটনা । মদনবাবু-সহ বেশ কয়েকজনের জামাকাপড়ে কালি ছিটিয়ে দেয় ওরা । আমরা সব ঘটনা প্রদেশকে জানাব ।"