দিঘা, 24 সেপ্টেম্বর : ফের হকার উচ্ছেদ শুরু হল দিঘায় ৷ গতকাল রাতে দিঘা সি বিচে থাকা হকারদের উচ্ছেদ শুরু হয়েছিল। আজ সকাল থেকে বাকি হকারদের উচ্ছেদ অভিযান চালাল দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ ও দিঘা থানা। এই উচ্ছেদের ফলে প্রায় সাতশো হকারদের রুজি রোজগার বিপন্ন হল। গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক ফুটপাতের দোকান তোলা হয় । বাকিদের তোলার কাজ চলছে। হকারদের অভিযোগ, দিঘা বিচ ও রাস্তাঘাট সর্বদা তারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে। দীর্ঘ কয়েক মাস লকডাউনের ফলে দিঘা বন্ধ ছিল। তারা রুজিরোজগার করতে না পেরে সংসার চালাতে পারছিল না । সবে দিঘা একটু একটু করে খুলতে শুরু করেছে । পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে । কোরোনার সময় সরকারি নিয়ম বিধি মেনেই হকাররা ফুটপাতের ব্যবসা করছিল। তাও কোনও সুযোগ না দিয়েই হঠাৎ করে তাদের জোরজুলুম করে তুলে দিল। আর এর ফলে এই সাতশো পরিবারের রোজগারে টান পড়বে। এই বিষয়ে উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকরা ক্যামেরার সামনে কিছুই বলতে চাননি। তবে উপর থেকে হকার তোলার নির্দেশ ছিল তাই তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দিঘার সি বিচের এক হকার মনিমা করণ বলেন, "আমরা পনেরো বছর ধরে ফুটপাতে বসে ব্যবসা করছি । আজকে হঠাৎ আমাদের দোকান তুলে দিচ্ছে। আমরা দুই হাত জায়গা চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা শোনেনি। আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি ।" আরও এক হকার রবীন্দ্র পাত্র বলেন, "পুলিশ আমাদের তাড়া করছে । সি বিচে থাকা যাবে না । আমাদের পুলিশ থেকে বলছে উপর থেকে অডার্র আছে ।" এই বিষয়ে এলাকার বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, "উচ্ছেদ কাউকে করা হচ্ছে না । ওই জায়গায় একটি পার্কিং করা হচ্ছে। আর পাশের ফাঁকা জায়গায় তাদের জন্য স্টল করা হবে।"
দিঘার সি বিচে হকার উচ্ছেদ
গতকালের পর আজও দিঘায় হকার উচ্ছেদ শুরু হল ৷ এর ফলে প্রায় সাতশো হকার সমস্যায় পড়বে ৷
দিঘায় হকার উচ্ছেদ
যদিও BJP-র কাঁথির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, "এইদিন দিঘার সি বিচে হকারদের তুলে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের অপদার্থ সরকার মানুষকে রুজি রুটি দিতে পারছে না । এবং বলা হচ্ছে তাদের আবার স্টল করে দেওয়া হবে। আমি বলতে চাই, কাটমানির টাকা কি শেষ হয়ে গেল ? আবার স্টল করে কাটমানি খাবেন ! নির্লজ্জ কাটমানির সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ সঠিক সময়ে জবাব দেবে।"