রামনগর, 13 ফেব্রুয়ারি: শুভেন্দু অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুর ৷ আর সেখান রবিবার বিজেপির সর্বভারতী সভাপতি জে পি নাড্ডার জনসভা হল কার্যত ফাঁকা মাঠে ৷ মেরে কেটে কয়েক হাজার বিজেপির কর্মী এবং সমর্থকরা উপস্থিত হয়েছিলেন রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের জনসভায় ৷ আর এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতির দড়ি টানাটানি ৷ উল্লেখ্য, বিরোধী দলনেতার গড়ে বিজেপি সভাপতির জমসভায় খোদ শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত ছিলেন না (Absence of Suvendu Adhikari in East Midnapore) ৷ বরং সেই সময় তিনি ছিলেন ত্রিপুরায় ৷ সেখানে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন তিনি ৷
ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দিলে রাজ্যে বিজেপির সংগঠন বলে কী কিছুই নেই ? বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর ও জঙ্গলমহল এলাকায় ৷ কারণ, সাম্প্রতিককালে শুভেন্দু নন্দীগ্রাম এবং জঙ্গলমহলের যতগুলি জনসভা করেছেন, তার প্রায় সবক’টিতে মানুষের ভিড় উপটে পড়েছিল ৷ সেখানে জে পি নাড্ডার সভায় হাতে গোনা কয়েক হাজার মানুষ ! যা ফের একবার রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল ৷ অন্তত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তো বটেই ৷
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জে পি নাড্ডার এটি রাজ্যে দ্বিতীয়বার আসা ৷ এদিনের জনসভা থেকে তৃণমূলকে 'তোলাবাজ মাফিয়া কোরাপশন' বলে আক্রমণ করেন নাড্ডা ৷ শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি ৷ কিন্তু, সেই বক্তব্য শোনার জন্য তেমন ভিড়ই ছিল না রামনগরের জনসভায় ৷ উল্লেখ্য, এদিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ৷ তবে, শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রামনগরের বিধায়ক স্বদেশ নায়ক কেও দেখা যায়নি জে পি নাড্ডার সভায় ৷