রামনগর (দিঘা), 5 এপ্রিল: বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সিকিমে তুষারধসে মৃত্যু হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর থানার মুকুন্দপুর এলাকার বাসিন্দা প্রীতম মাইতির (29)। স্ত্রী ও পাঁচ বছরের ছেলে রয়েছে তাঁর ৷ 2010 সাল থেকে প্রীতম বিদ্যুৎ দফতরের চুক্তিভিত্তিক একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন । তাই স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে কলকাতার মানিকতলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন । গত কয়েকদিন আগে পুজো উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন প্রীতম । এরপর স্ত্রী ও সন্তানকে মানিকতলার ফ্ল্যাটে রেখেই সহকর্মীদের সঙ্গে সিকিম বেড়াতে চলে যান ।
মঙ্গলবার ছাঙ্গুলেকে ভয়াবহ বিপর্যয়ে মৃত্যু হয় একাধিক পর্যটকের । ঘটনা ঘটার পর যখন উদ্ধারের কাজ চলছিল ঠিক তখনই ফের বিপর্যয় নেমে আসে । তাতে আরও বেশ কয়েকজন পর্যটক নিখোঁজ হয়ে যান । এখনও পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে । সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বেশ কয়েকজন মৃতের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে । তাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর থানার মুকুন্দপুরের সাগরেশ্বর গ্রামে বাসিন্দা প্রীতম মাইতির নাম রয়েছে । তবে তিনি কলকাতার বাসিন্দা বলে উল্লেখ থাকায় প্রথমে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল । এমনকি খবর করতে গ্রামে ঢুকতেই স্থানীয় বাসিন্দারা আটকে দেয় । তাদের বক্তব্য এই মুহূর্তে এখন মৃতের পরিবারের কোনও ছবি তোলা বা খবর করা যাবে না । কারণ বাড়িতে তাঁর বৃদ্ধ মা-বাবা রয়েছেন ।
প্রীতমের বাবা বছর চৌষট্টির পূর্ণচন্দ্র মাইতি ও মা সাতান্ন বছরের জ্যোৎস্না মাইতি ৷ তার এক বোনও রয়েছে । তিনি কলকাতায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলে জানা গিয়েছে । ছেলের মৃত্যুর ঘটনা শুনলে বাবা-মা এই বয়সে সহ্য করতে পারবেন না বলে বোন লুকিয়ে দাদার দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছে ।