কোলাঘাট, 23 আগস্ট : নবীনবরণ উৎসবের প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ৷ নবীনবরণ উৎসবের প্রস্তুতি পর্বে তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের না ডাকায় দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের মারধর ৷ অভিযোগ, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে ৷ এর জেরে জখম 4 । এর প্রতিবাদে গতকাল কলেজের ডিরেক্টরের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় কোলাঘাট থানার পুলিশ ৷ তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ৷ জখম ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসার জন্য কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সংঘর্ষ, পড়ুয়াদের ধর্ষণের হুমকি - Kolghat
নবীনবরণ উৎসবের প্রস্তুতি পর্বে তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের না ডাকায় দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের মারধর ৷ অভিযোগ, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে ৷ এর জেরে জখম 4 । কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ঘটনা
![কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সংঘর্ষ, পড়ুয়াদের ধর্ষণের হুমকি](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-4216565-399-4216565-1566544632430.jpg)
7 সেপ্টেম্বর কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠান ৷ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য বুধবার বিকেলে দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা রিহার্সাল শুরু করে । এই রিহার্সালে উপস্থিত ছিল না তৃতীয় ও চতুর্থবর্ষের ছাত্রছাত্রীরা ৷ অভিযোগ, তাদের ডাকা হয়নি । এ নিয়ে সন্ধ্যার দিকে দু'পক্ষের বচসা শুরু হয় । হয় হাতাহাতি । এরপর দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের হস্টেল রুমে ভাঙচুর চালায় তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা । খাবারও ফেলে দেয় । এই নিয়ে বুধবার রাত থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা । খবর পেয়ে গতকাল সকালে কলেজে যান ডিরেক্টর ৷ তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয় । বন্ধ হয়ে যায় কলেজের পঠন-পাঠন । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় কোলাঘাট থানার পুলিশ । তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে ।
ইলেক্ট্রিকাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী পিয়াসা জানা বলেন, "তৃতীয় ও চতুর্থবর্ষের পড়ুয়ারা আমাদের ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে । আতঙ্কে আছি ।" দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রের অভিভাবক আশিস হালদার বলেন, "গতরাত থেকে যা হচ্ছে তাতে আমরা খুবই আতঙ্কিত ।"
কলেজের ডিরেক্টর প্রভাসকুমার বোস বলেন, "কলেজের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশকে ডাকা হয়েছিল । পরে দু'পক্ষকে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আলোচনা করা হয়েছে । এটা কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয় । সামান্য একটা ভুল বোঝাবুঝির জন্যই ঘটেছে । পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক ।"