তমলুক, 7 মে: কোরোনায় আক্রান্ত হলেন মেচেদার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী । বছর পঞ্চাশের ওই প্রৌঢ়া বর্তমানে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক এক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। আজ রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে তাঁর পরিবারের বাকি ছয় সদস্যকেও চণ্ডীপুরের কোরোনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
কোরোনায় আক্রান্ত মেচেদার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী
কর্মস্থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গতকাল সকাল দশটা নাগাদ এক প্রৌঢ়াকে নিয়ে বাইকে বাড়ি থেকে মেচেদার উদ্দেশে রওনা দেয় তাঁর ছেলে। পথে বাইক থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান ওই প্রৌঢ়া। অস্ত্রোপচারের আগে তাঁর সমস্ত শারীরিক পরীক্ষা করা হয় । সেখানে তাঁর সোয়াব টেস্টও করা হয় । রিপোর্টে দেখা যায় যে তিনি কোরোনায় আক্রান্ত।
কর্মস্থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গতকাল সকাল দশটা নাগাদ ওই প্রৌঢ়াকে নিয়ে বাইকে বাড়ি থেকে মেচেদার উদ্দেশে রওনা দেয় তাঁর ছেলে। পথে বাইক থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয় স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে । অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই গতকাল অস্ত্রোপচারের আগে তাঁর সমস্ত শারীরিক পরীক্ষা করা হয় । সেখানে তাঁর সোয়াব টেস্টও করা হয় । রিপোর্টে দেখা যায় যে তিনি কোরোনায় আক্রান্ত। সেই রিপোর্টই আজ দুপুর নাগাদ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে এসে পৌঁছালে ব্যাঙ্কের সমস্ত কর্মীদের হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। অপর দিকে পরিবারের বাকি ছয় সদস্যকে পাঠানো হয় চণ্ডীপুরের কোরোনা হাসপাতালে আইসোলেশন বিভাগে। সেইসঙ্গে ব্যাঙ্কের শাখাটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের তরফে।
এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, আক্রান্ত ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিবারের ছয় সদস্যকে ইতিমধ্যেই চণ্ডীপুরে কোরোনা হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে ভরতি করা হয়েছে। ব্যাঙ্কটি পুরোপুরি স্যানিটাইজ় না করা পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।