ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দিঘায় হাতেগোনা পর্যটক দিঘা, 13 মে: শক্তিবৃদ্ধি করে ক্রমশ এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোকা ৷ আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বেলা সাড়ে 12টা নাগাদ মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরের কাছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে ৷ বাংলাদেশের কক্সবাজার, মহেশখালি এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ তবে, এর ব্যাপক প্রভাব না পড়লেও, বাংলাতে এর রেশ অবশ্যই থাকবে ৷ বিশেষত, উপকূলবর্তী চার জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা যাবে ৷ তার কিছুটা প্রভাব আজ সকাল থেকেই দেখা গেল সমুদ্র উপকূল এলাকায় ৷
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা দিঘায় এ দিন সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ ৷ বেলা বাড়তেই ঝিরঝির বৃষ্টি শুরু হয় ৷ মোকার আগাম সতর্কতা হিসাবে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় এনডিআরএফ-এর টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৷ তারা সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং করে মানুষজনকে সতর্ক করছেন ৷ মোকার সতর্কতায় দফায় দফায় জেলার প্রশাসনিক কর্তারা বৈঠকে বসেছেন ৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনও মানুষ যাতে না পড়ে তার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে স্কুলগুলিতে সবরকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ৷
সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় প্রশাসনের তরফ থেকে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে ৷ এই পরিস্থিতি দিঘার সৈকতে পর্যটকদের দেখা গেল ৷ তবে, সাধারণ সময়ের থেকে অনেকটাই কম ছিল পর্যটকদের ভিড় ৷ আর যাঁরা এসেছেন, তাঁদের দেখা গেল দিঘা সমুদ্রে স্নানে মত্ত থাকতে ৷ তবে, জলের বেশি গভীরে যেতে দেওয়া হয়নি পর্যটকদের ৷ এনডিআরএফ-এর বাহিনী এবং নুলিয়ারা কড়া নজর রেখেছেন সমুদ্রে ৷ কেউ গভীর জলে গেলেই তাঁদের দ্রুত পাড়ের দিকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ৷ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে, সমুদ্র আজ সকাল থেকেই বেশ উত্তাল রয়েছে ৷ প্রশাসন সতর্ক হলেও, সাধারণ মানুষকে ততটা সতর্ক দেখা গেল না ৷
আরও পড়ুন:অসহ্য গরম থেকে মিলবে রেহাই! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বঙ্গে
রামনগর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নিতাই চরণ সার বলেন, ‘‘আমাদের এলাকার সমস্ত জন প্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিজেদের এলাকায় থাকার জন্য । যতগুলি স্কুলে সেফ সেন্টার আছে সব প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে ৷ তার সঙ্গে শুকনো খাবার, ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ প্রশাসনের তরফে কোনওরকম দুর্যোগের সতর্কতা দেওয়া হলেই আমরা লোকজনকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়ব ৷’’