চণ্ডীপুর, 18 জুলাই : ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে বাধা দেওয়ায় দাদাকে কুপিয়ে খুন ৷ বাধা দিতে গেলে মাকেও ধারালো অস্ত্রের কোপ ৷ তারপর বিষ খেয়ে যুবকের আত্মহত্যা ৷ মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর থানার সুলতানপুর এলাকায় ৷
মোবাইল গেমস ৷ অবসর কাটানোর একটি দারুন পন্থা ৷ বর্তমানে মোবাইল গেমসের প্রতি আসক্তি নেই এমন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা খুঁজে পাওয়া মুশকিল ৷ হাতের মুঠোফোনে এক ক্লিকেই ভার্চুয়ালি খেলা যায় মোবাইল গেমস ৷ কিন্তু এই মোবাইল গেমসের কারণে প্রাণহানীও কম হয়নি ৷ কয়েক বছর আগে ভার্চুয়াল জগতে হৈচৈ ফেলেছিল ব্লু হোয়েল গেম ৷ এই গেম খেলে বহু তরুণ-কিশোর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল ৷ এছাড়া পোকেমন গো গেমেও ঘটেছে নানা দুর্ঘটনা ৷
কিশোর মনে দারুন প্রভাব ফেলে মোবাইল গেমস ৷ কার্যত খাওয়া দাওয়া ভুলে ভার্চুয়াল জগতে মেতে থাকে অনেকেই ৷ ভাইকে সেই মোবাইল গেমস খেলতে বাধা দেওয়ায় যে এমন মর্মান্তিক পরিণতি ঘটবে তা হয়ত স্বপ্নেও ভাবেননি চণ্ডীপুর থানার সুলতানপুরের সূর্যকান্ত মণ্ডল ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাতে ফ্রি ফায়ার গেম খেলায় ব্যস্ত ছিল সূর্যকান্তের ভাই চন্দ্রকান্ত ৷ তাঁকে বারবার গেম খেলা থেকে বিরত থাকতে বলে সূর্যকান্ত ৷ বকাবকিও করে সে ৷ এমনকি দুই ভাইয়ের মধ্যে অশান্তিও হয় ৷ এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে দাদা সূর্যকান্তকে কোপাতে শুরু করে চন্দ্রকান্ত ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সূর্যকান্তের ৷ তাঁকে বাঁচাতে এলে মায়ের উপরও ধারালো অস্ত্রের কোপ মারতে থাকে চন্দ্রকান্ত ৷ গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলে সংজ্ঞা হারান তাঁদের মা কাজলরানী মণ্ডল ৷
আরও পড়ুন : Nelson Mandela Day : ম্যান্ডেলার উপস্থিতিতে জোড়া শতরান, "আপনি আমার জন্য লাকি", বলেছিলেন সচিন
এরপরই ঘর ছেড়ে পালায় চন্দ্রকান্ত ৷ ভগবানপুর থানার সরবেরিয়া এলাকায় গিয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে ৷ সকালে খবর পেয়ে চন্দ্রকান্তকে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে ভগবানপুর থানার পুলিশ ৷ সেখানে মৃত্যু হয় চন্দ্রকান্তের ৷ অন্যদিকে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ কাজলরানী দেবীকে উদ্ধার করে চণ্ডীপুর এড়াশাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে ৷ সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ ৷