মহিষাদল, 6 সেপ্টেম্বর: মহিষাদল থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে নিজের কন্যা সন্তানকে জলে ডুবিয়ে খুন করার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের মা । সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই হলদিয়া মহকুমা আদালতের নির্দেশে কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় মহিষাদল থানার পুলিশ । যদিও ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি ।
শিশুকন্যাকে খুন করে কবর ! ময়নাতদন্তের নির্দেশ - Purba Medinipur news
বিকেল নাগাদ ছোট মেয়ে সোহানা খাতুনের (5) মৃতদেহ বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরে ভেসে উঠতে দেখেন প্রতিবেশীরা । পরে দেহ উদ্ধার করে মৃতের বাবা সিরাজুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গ্রামেরই একটি কবরস্থানে কবর দেন । পরে স্ত্রী রোজিনা বিবির হলদিয়া মহাকুমা আদালত ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, পনেরো বছর আগে পেশায় রাজমিস্ত্রি গাজীপুরের বাসিন্দা শেখ সিরাজুলের সাথে নন্দীগ্রামের বাসিন্দা রোজিনা বিবির বিয়ে হয় । পরে তাদের দুই কন্যা সন্তান জন্মায় । গত মাস থেকে তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয় । 4 সেপ্টেম্বর(শুক্রবার) সকালে নিজের বড় মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান রোজিনা । ওইদিনই বিকেল নাগাদ ছোট মেয়ে সোহানা খাতুনের (5) মৃতদেহ বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরে ভেসে উঠতে দেখেন প্রতিবেশীরা । পরে দেহ উদ্ধার করে সিরাজুল ও তার পরিবারের সদস্যরা গ্রামেরই একটি কবরস্থানে কবর দেন । পরে খবর পেয়েই গতকাল ভোর রাতে রোজিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা মহিষাদল থানায় যান । এবং সিরাজুল ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে কন্যাকে জলে ডুবিয়ে খুন করার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আজ হলদিয়া মহাকুমা আদালত ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন । সেইমতো মহিষাদল ব্লকের BDO জয়ন্ত কুমার দে ও হলদিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক তন্ময় মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মহিষাদল থানার পুলিশ ।
এবিষয়ে হলদিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক তন্ময় মুখোপাধ্যায় জানান, গত শুক্রবার একটি শিশু কন্যার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় । পুলিশকে প্রাথমিকভাবে না জানিয়েই মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছিল । পরে গতকাল ভোর রাতে মৃতের মা মহিষাদল থানায় মেয়েকে খুনের অভিযোগ জানান । আজ হলদিয়া আদালতের নির্দেশে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । বেশ কিছুদিন ধরে ওই দম্পতির মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল বলে জানা গেছে । সেই কারণেই কন্যা সন্তানকে খুন করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।