পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

সড়কপথে আটকাবে পুলিশ, রেলপথ ধরে বাড়ি ফিরতে গিয়ে কাঁথিতে আটক 9 শ্রমিক

সড়কপথ ধরে হাঁটতে পুলিশ আটকাতে পারে, এই ভেবে রেলপথ ধরে হাঁটা শুরু করেন তাঁরা । কিন্তু 250 কিলোমিটার তো অনেক দূর । 35 কিলোমিটার পেরোতেই কাঁথিতে তাঁদের আটক করে পুলিশ ।

ছবি
ছবি

By

Published : May 6, 2020, 8:43 AM IST

কাঁথি, 6 মে : রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন দিঘায় । লকডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে যায় । বন্ধ হয়ে যায় রোজগার । সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে ক'দিন চালিয়ে নিলেও, টাকা ফুরোতে থাকায় বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন । 250 কিলোমিটার পেরিয়ে বীরভূমে নিজেদের বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা দেন । কিন্তু সড়কপথে ফিরলে তো পুলিশ আটকাবে । এই ভেবে সামাজিক দূরত্ব মেনে রেললাইন ধরে হাঁটা শুরু করেন 9 জন শ্রমিক । কিন্তু 35 কিলোমিটার হাঁটার পর কাঁথির কাছে এলে তাঁদের আটকায় রেলপুলিশ । প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর তাঁদের আবার ফেরত পাঠিয়ে দেয় দিঘায় ।

দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ । পেটের তাগিদে একটি নির্মাণ সংস্থার হয়ে বীরভূম থেকে দিঘায় কাজ করতে এসেছিলেন । কোরোনা সংক্রমণ রুখতে হঠাৎই লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় মার্চ থেকেই কাজ বন্ধ হয়ে যায় । কিছু টাকা দিয়ে সংস্থার লোকজন দায় সারে । সেই টাকা দিয়েই এতদিন কোনওরকমে চালিয়ে নেন তাঁরা । লকডাউন উঠলেই ফিরবেন বলে ঠিক করেন । কিন্তু দিন দিন লকডাউনের সময়সীমা বাড়তে থাকায় হেঁটেই ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা । রেল পরিষেবা বন্ধ থাকায় রেলপুলিশও থাকবে না ভেবে রেল লাইন দিয়ে হাঁটা শুরু করেন । কিন্তু 250 কিলোমিটার তো অনেক দূর । 35 কিলোমিটার পেরিয়ে কাঁথি আসতেই রেলপুলিশ আটক করে তাঁদের । নিয়ে যাওয়া হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে । সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁদের ফের দিঘায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় ।

এবিষয়ে শ্রমিকদের একজন অজিত মাল বলেন, "আমাদের টাকা ফুরিয়ে এসেছে । খাওয়া, থাকার সমস্যা হত । এমনকী দিঘার ঠিকাদার আমাদের দেনা পাওনা মিটিয়ে দায় সেরেছেন । দীর্ঘদিন লকডাউন থাকায় সমস্ত টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে । তাই পুরোটা শেষ হওয়ার আগেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম । কিন্তু কাঁথি স্টেশনে আসা মাত্রই রেলপুলিশ আমাদের আটকে কাঁথি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় ।"

রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি এপ্রসঙ্গে বলেন, " প্রশাসনকে বলব, তাঁদের চিকিৎসা করিয়ে ঠিকমতো তাঁরা যেন বাড়ি ফিরতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দিতে । ইতিমধ্যে আমার বিধানসভা এলাকায় যাঁরা ভিনরাজ্যে থাকেন, তাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন । বাড়ি ফিরতে চান বলে জানিয়েছেন । রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে । খাবার অসুবিধা হওয়ায় আমি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছি । আমি চাই, তাঁরা সুষ্ঠুভাবে বাড়ি ফিরে আসুক ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details