পাঁশকুড়া, 1জুলাই : কোরোনা মুক্ত হলেন পূর্ব ওপশ্চিম মেদিনীপুরের34জন ব্যক্তি । আজ বিকেলে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে অ্যাম্বুলেন্সেতাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় । সকলকেই আগামী14দিন হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশদিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল ।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রেজানা গিয়েছে,আজ সুস্থহয়ে বাড়ি ফিরলেন কাঁথি ব্লকের তিনজন কোরোনা আক্রান্ত । তমলুক ব্লকের তিন যুবক ।ভগবানপুর ব্লকের দুইজন । পটাশপুর ব্লকের তিনজন । এছাড়া হলদিয়া ব্লকের নয়জন ।খেজুরি ব্লকের দুই ও নন্দীগ্রাম ব্লকের একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন । পাঁশকুড়াব্লকের তিনজন,এগরাব্লকের দুইজন । মহিষাদল ব্লকের দুইজন এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের দুইজন বাড়ি ফেরেন। এছাড়া চণ্ডীপুর ব্লকের একজন ও পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর এলাকার একজন ।
মুক্ত রোগীদের অধিকাংশইসম্প্রতি ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন । স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে সোয়াব টেস্ট করাহয় । সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট এলে জানা যায়,তাঁরা প্রত্যেকেই কোরোনা আক্রান্ত ।জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের উদ্যোগে তাঁদের পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করেচিকিৎসা শুরু হয় ।
কোরোনা-মুক্তি দুই মেদিনীপুরের আরও 34
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের আরও 34জন কোরোনা সংক্রমণ মুক্ত হলেন । তাঁদের আজ জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় ।
চিকিৎসায়সুস্থ হয়ে ওঠায় আবার পর পর দুইবার তাঁদের সোয়াব পরীক্ষা করা হয় ।R Gকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সেইসোয়াব নমুনা পাঠানো হয় । হাসপাতাল থেকে তাঁদের রিপোর্ট পাঠায় । দুইবারই রিপোর্টনেগেটিভ আসে । এই রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন,ওই আক্রান্ত ব্যক্তিরা সংক্রমণ মুক্তহয়েছেন । আজ দুপুর নাগাদ তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় ।
এই বিষয়ে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “দুই জেলার34কোরোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েওঠায় তাঁদের ছুটি দেওয়া হয়েছে । আগামী14দিন প্রত্যেককেই হোম কোয়ারানটিনেথাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”