কাঁথি 8 জুন: বাইরে থেকে কোরোনার কোনও উপসর্গ ছিল না । তাই 14 দিন কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকার পর পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানো হয়েছিল । সেসময় তাঁদের সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল । আজ সেই রিপোর্ট কোরোনা পজ়িটিভ আসায় প্রশাসন মহলে চিন্তার ভাঁজ । ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করার পর্যাপ্ত ক্ষমতা না থাকায়, সোয়াব রিপোর্ট আসতে দেরি হয় । আর এজন্য বিপাকে পড়ল জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ।
কোয়ারানটিন থেকে বাড়ি ফেরা ১২ পরিযায়ী শ্রমিকের সোয়াব রিপোর্ট পজ়িটিভ - Migrant workers
14 দিন কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকার পর 12 জন পরিযায়ী শ্রমিককে ছেড়ে দেওয়া হয় । বাইরে থেকে কোরোনার কোনও উপসর্গ ছিল না । কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকার সময় তাঁদের সোয়াব রিপোর্ট পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল । কিন্তু ল্যাবরেটরিতে সোয়াব পরীক্ষার পর্যাপ্ত ক্ষমতা ছিল না । তাই রিপোর্ট আসতে দেরি হল । কিন্তু ততদিনে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে । আজ সেই রিপোর্ট আসা মাত্রই পরিযায়ী শ্রমিকদের হাসপাতালে ভরতি করল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আবার নতুন করে 14 জনের কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়েছে । তার মধ্যে 12 জন পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা 2 বৃদ্ধ । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহাকুমার 5 জন যুবক, ভগবানপুর 2 নম্বর ব্লকের দু'জন জন ও চণ্ডীপুর এলাকার চারজনের লালারসের নমুনার রিপোর্ট পজ়িটিভ ধরা পড়েছে । এরমধ্যে 12 জন পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা 2 জন বৃদ্ধ রয়েছেন ।
আজ তাঁদের পাঁশকুড়া কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ওই 12 জন গত মাসে বাড়ি আসার পর কোয়ারানটিন সেন্টারে তাঁদের রাখা হয়েছিল । কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকার সময় দুই বৃদ্ধও তাঁদের সংস্পর্শে আসে । গত মাসের 27 তারিখে তাঁদের লালারস পরীক্ষার জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কোয়ারানটিন সেন্টারে 12 জন পরিযায়ী শ্রমিক থাকার সময় তাঁদের শরীরে কোরোনার কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। তাই তাঁদের কোয়ারানটিন সেন্টার থেকে 14 দিন থাকার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কোরোনার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পর জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ নড়েচড়ে বসে। তড়িঘড়ি এই 14 জনকে পাঁশকুড়া কোরোনা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভরতি করানো হয়েছে । এই 14 জনের সংস্পর্শে আর যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে । তাঁদের চণ্ডীপুর কোরোনা হাসপাতলে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় বলেন, "গত মাসের 27 তারিখে তাদের নমুনার লালারস পরীক্ষার জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল । ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করার পর্যাপ্ত ক্ষমতা না থাকায়, রিপোর্ট আসতে এত দেরি হয়েছে । কিন্তু পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার সঙ্গে সঙ্গে 14 জন কোরোনা আক্রান্তকে পাঁশকুড়া কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । " দু এক দিনের মধ্যে এই 14 জনের আবার লালারস পরীক্ষার জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে । কারণ কোরোনায় আক্রান্তদের কোরোনার কোনও উপসর্গ দেখাতে পাওয়া যায়নি । যে 14 জন কোরোনায় আক্রান্তদের সংস্পর্শে আর যাঁরা এসেছিলেন তাঁদেরও চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে । চিহ্নিতকরণের পর তাদের চণ্ডীপুুর কোরোনা হাসপাতালে নিয়ে এসে লালারস পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করা হবে ।