শুভেন্দুর ডাকা 12 ঘণ্টা খেজুরি বনধ খেজুরি, 27 নভেম্বর: দলীয় নেতার গ্রেফতারির প্রতিবাদে সোমবার খেজুরি থানা এলাকায় 12 ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আর এই বনধ সফল করতে জোর করে ফেরিঘাট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি'র বিরুদ্ধে। খেজুরি থানা এলাকার বনধ সফল করতে রাস্তায় বিজেপির দাদাগিরিরও অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
গত শনিবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদা থানায় ঢুকে শুভেন্দু অধিকারী কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন আগামী সোমবার খেজুরিতে 12 ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। খেজুরির বিজেপি নেতা রবিন মান্নাকে মিথ্যা মামলায় পুলিশের গ্রেফতারির প্রতিবাদে এই বনধ ডেকেছে বিজেপি। তবে এদিন খেজুরিতে 12 ঘণ্টার বনধের মিশ্র প্রভাব দেখা গেল ৷ এদিন খেজুরি থানার বেশ কয়েকটি জায়গায় বনধের প্রভাব পড়লেও কলাগাছিয়া, তেঁতুলতলা, জনকায় দোকানপাট মোটের ওপর খোলাই ছিল। মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বাজার-হাটে বেচা-কেনা করতে দেখা গিয়েছে।
খেজুরি থানার বিভিন্ন জায়গায় বনধ সফল করতে বিজেপি বলপ্রয়োগ করে রাস্তার উপর কাঠের গুঁড়ি ফেলে হেড়িয়া-বোগা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। আর এই বনধের দিন রাস্তায় বেরিয়ে ভোগান্তির শিকার আমজনতা। তবে বিজেপি'র ডাকা 12 ঘণ্টার বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি বলেই দাবি তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ কান্তি পণ্ডার।
তিনি বলেন, "শুভেন্দু অধিকারীর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তাই তিনি এইসব বনধের কথা বলছেন। আর তিনি অনেক বড় সনাতনের সেবক বলে মনে করেন। আজকে বাঙালিদের রাস পূর্ণিমা। উৎসবে বাঙালিরা মেতে ওঠে। তিনি আজকের দিনে বনধ ডাকলেন এটা কিন্তু সাধারণ মানুষ ভালো চোখে নেয়নি। তাই খেজুরি নিবাসী বনধের বিরোধিতা করেছে। তাই খেজুরিতে বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি। কোনও কোনও জায়গায় বিজেপি জোর করে দাদাগিরি দেখিয়ে বনধ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সাধারণ মানুষ তা প্রতিরোধ করে দিয়েছে।" যদিও এর পালটা খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলেন, "খেজুরিতে সার্বিকভাবে আমরা বনধ সফল করেছি। খেজুরিবাসী এই বনধ সমর্থন করেছে।"
আরও পড়ুন
- কথা রাখলেন অভিষেক, শাহি সভার আগেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিতদের বাড়িতে পৌঁছল আর্থিক সাহায্য!
- শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
- বিতর্কিত মন্তব্যের জের ! সভায় হাজির থাকলেও মঞ্চে ঠাঁই হল না বারাসতের তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাসের