বর্ধমান, 13 ডিসেম্বর : ডাইনি অপবাদ দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল । লজ্জায়, অপমানে কোনও উপায় না দেখে আত্মহত্যা করার চিন্তাভাবনাও করেছিলেন ৷ কিন্তু ছেলে-মেয়েদের মুখ চেয়ে পারেননি ৷ পরবর্তীকালে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় নতুন জীবন ফিরে পান । আজ তাঁর হাত ধরে বাঁচার চেষ্টা করছেন বিভিন্নভাবে পিছিয়ে পড়া বেশ কয়েকটি গ্রামের মহিলারা । তাঁদের স্বনির্ভরতার পাঠ দিয়েছেন তিনি ৷
রাসমণি মালিক ৷ বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহর সংলগ্ন হাটশিমুল গ্রামে । 2014 সালে তাঁকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী । পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে আত্মহত্যা করার কথা চিন্তা-ভাবনাও শুরু করেন । কিন্তু সংসারে ছেলে-মেয়েদের কথা ভেবে সেই ইচ্ছে ত্যাগ করেন ৷ মনের জোরে শুরু করেন বাঁচার লড়াই ৷ আর সেই লড়াইয়ে পাশে পান দেবশিশু ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ।
রাসমণির হাত ধরে মূলস্রোতে ফেরার চেষ্টা গ্রামের পিছিয়ে পড়া মহিলাদের - বর্ধমান
একদিন ডাইনি অপবাদ দিয়ে রাতের অন্ধকারে তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল কয়েকজন গ্রামবাসী ৷ আজ সেই রাসমণি মালিকের হাত ধরে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন গ্রামের অন্য মহিলারা ৷ স্বনির্ভর হয়ে সংসারের হাল ধরছেন ৷
আজ রাসমণি মালিকের হাত ধরে নতুন করে বাঁচার লড়াই শুরু করেছেন গ্রামের বেশ কয়েকজন মহিলা ৷ গাংপুরের হাটতলায় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে খেলনা তৈরি করে ধীরে ধীরে স্বনির্ভর হচ্ছেন তাঁরা ৷ তাঁদের তৈরি খেলনা একটা কম্পানির মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন বাজার ও মেলায় । গ্রামের পিছিয়ে পড়ার মহিলাদের খুঁজে বের করে তাঁদের স্বনির্ভর করার চেষ্টা করছেন রাসমণি । এই মহিলাদের কেউ কেউ আর্থিক ভাবে পিছিয়ে, কেউ কেউ আবার সংসারে নানাভাবে বঞ্চিত । সংসারের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে তাঁরা পরিশ্রম করে চলেছেন ।