আউশগ্রাম, 13 সেপ্টেম্বর : দ্বিতীয় পক্ষের শওহর ফুঁসলিয়ে নিয়ে গেছে কিশোরী মেয়েকে ৷ এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন যুবতি । পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের ঘটনা । এর আগে তাঁর মেয়েকে দ্বিতীয় পক্ষের শওহর ধর্ষণ করেছে, আরও অভিযোগ ওই যুবতির ৷
গত রবিবার থেকে মেয়ে ও শওহরের কোনও সন্ধান পাচ্ছেন না, জানিয়েছেন ওই যুবতি । এদিন তিনি প্রথমে যান গুসকরা পুলিশ ফাঁড়িতে । তারপর আউশগ্রাম BDO-র কাছে লিখিতভাবে ঘটনার কথা জানিয়েছেন ।
আউশগ্রামের কয়রাপুর গ্রামে 17 বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ওই যুবতির । প্রথমপক্ষের এক মেয়ে ও এক ছেলে । মেয়ে ভাতারের ওড়গ্রাম চতুষ্পল্লি হাই মাদ্রাসার ক্লাস নাইনের । ছেলে কয়রাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস সেভেনে পড়ে ।
যুবতি জানান, আউশগ্রামের বেরেণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের (31) সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ তাঁর । সম্পর্ক প্রেমের দিকে এগোলে প্রথম পক্ষের শওহরের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি করে কাটোয়া আদালতে ওই যুবকের সঙ্গে আইনি মতে নিকাহ সারেন তিনি । কাটোয়া শহরে যুবতির পৈতৃক বাড়ি । বিয়ের পর প্রায় একবছর বেরেণ্ডা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে কাটান তিনি । তবে প্রথম পক্ষের দুই সন্তান থেকে যায় কয়রাপুর গ্রামে ঠাকুমার কাছেই । গতবছর থেকে কলকাতায় একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজে লাগেন দ্বিতীয় পক্ষের শওহর । পাশাপাশি ওই যুবতি কলকাতায় একটি ব্যাগের কারখানায় কাজ করেন ।
ছেলেমেয়ের সঙ্গে দেখা করতে প্রথমপক্ষের শ্বশুরবাড়িতে অবশ্য যাতায়াত ছিল ওই যুবতির । ছেলে-মেয়েও মাঝেমধ্যে তাদের মা ও সৎ বাবার কাছে যাতায়াত করত । যুবতির অভিযোগ, একমাস আগে তার মেয়ে কলকাতায় কয়েকদিনের জন্য যখন ছিল তখন শওহরের সঙ্গে মেয়েকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি ।
ওই যুবতি বলেন, ''দু'জনকে ওই অবস্থায় দেখার পর শওহর ক্ষমা চান । মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানিয়েছিল তার আব্বাই জোর করে এসব করেছে । তবে লজ্জা পেয়ে এ বিষয়ে কিছু বলিনি । মেয়েকে কয়রাপুরে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ।'' ওই ঘটনার পর কিশোরী কয়রাপুরে ফিরে আসে । তারপর গত রবিবার কয়রাপুর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় । যুবতির অভিযোগ, তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের শওহর অর্থাৎ মেয়েটির সৎ বাবাই ফুঁসলিয়ে নিয়ে গেছে মেয়েকে ৷