Viral Video : তৃণমূল বিধায়ককে জুতো পরিয়ে দিলেন দলীয় কর্মীরা, ভাইরাল ভিডিয়োয় বিতর্ক

বুধবার ছিল কিশোর কুমারের জন্মদিন । সেই উপলক্ষ্যে শহরের 35 নং ওয়ার্ডে একটি রক্তদান শিবির হয় । সেই অনুষ্ঠানেই প্রধান অতিথি ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস । তিনি অনুষ্ঠানে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলনের পর জুতো পরতে গেলে দু'-তিনজন দলীয় কর্মী তাঁকে জুতো পরিয়ে দেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন ও নেতাকে জুতো পরিয়ে দেন ৷

বর্ধমান, 5 অগস্ট : রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠান শেষে দলীয় কর্মীদের দিয়ে জুতো পরানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ অস্বীকার করলেন বিধায়ক খোকন দাস ৷ যদিও বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক । এই বিষয়ে খোকন দাসের বক্তব্য, যেহেতু আমি নিচু হয়ে জুতোর ফিতে আটকাতে পারি না । তাই গত দশ বছর ধরেই আমার সঙ্গে যে ভাই থাকে সেই কাজটা করে দেয় । এই ভিডিয়ো ভাইরাল করে নোংরামো করা হচ্ছে ।

বুধবার ছিল কিশোর কুমারের জন্মদিন । সেই উপলক্ষ্যে শহরের 35 নং ওয়ার্ডে একটি রক্তদান শিবির হয় । সেই অনুষ্ঠানেই প্রধান অতিথি ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস । তিনি অনুষ্ঠানে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলনের পর জুতো পরতে গেলে দু'তিনজন দলীয় কর্মী তাঁকে জুতো পরিয়ে দেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন ও নেতাকে জুতো পরিয়ে দেন ৷ সেই ভিডিয়োই কেউ বা কারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ৷ যা নিমেষে ভাইরাল হয় । বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে । যদিও বিধায়ক খোকন দাসের মতে অহেতুক জলঘোলা করা হচ্ছে ।

খোকন দাস বলেন, "গতকাল 35 নম্বর ওয়ার্ডের রক্তদান শিবির ছিল । আমি দলের পতাকা তুলতে যাই । পতাকা তোলার সময় জুতো খুলে রেখেছিলাম । পতাকা উত্তোলনের পরে জুতো নিজেই পড়েছি । জুতোর বেল্টটা ক্লিপের মধ্যে আটকে যায় । তখন আমার সঙ্গে থাকা ভাই জুতোর ফিতে আটকে দেয় । এটা সে সবসময়ই করে । যেহেতু আমি নিচু হয়ে জুতোর ফিতে আটকাতে পারি না, তাই ৷ এটাকে কে বা কারা ছবি তুলে ভাইরাল করেছে জানি না । দুঃখজনক ঘটনা ।’’

বিধায়ক আরও বলেন, "আমি সাধারণ মানুষকে সম্মান করি । আপদেবিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ি । করোনা পরিস্থিতিতেও তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছি । তাঁদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছি । আজকে যে এই জুতোর ফিতে আটকে দিয়েছে সে প্রশাসন বা দলের কোনও কর্মী নয় । সে আমার নিজের ঘরের ছেলে । সেটা নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করা হচ্ছে ।"