বর্ধমান, 21 মার্চ: 11 জন ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন করে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক (TMC MLA Nisith Malik) । সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক । যদিও বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক জানান, তাঁর এই বিষয়ে কিছু জানা নেই ।
অথচ যে চিঠিটি প্রকাশ্যে এসেছে, তা বিধায়ক নিশীথ মালিকের প্যাডে লেখা ৷ ওক চিঠিতে দেখা গিয়েছে বিধায়ক প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেছেন নিশীথ মালিক ৷ যাতে তাঁর মনোনীত 11 জন ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তিনি বলেন । ওই প্যাডে সংশ্লিষ্ট চাকরি প্রার্থীদের রোল নম্বর-সহ অন্যান্য তথ্য দেওয়া আছে । বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক বলেন, ‘‘আমার এ বিষয়ে কিছু জানা নেই, জানতে পারলে বলতে পারবো ।’’
তৃণমূল বিধায়কের প্যাডে লেখা সেই চিঠি ওই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক । বিজেপির (BJP) অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) প্রতিটি নেতা-কর্মীই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত । চাকরি দেওয়ার নাম করে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছেন । শিক্ষাব্যবস্থা আজ মাটিতে মিশে গিয়েছে । ধীরে ধীরে সব প্রকাশ্যে আসছে । মানুষ সব দেখছে । তদন্তকারী সংস্থার উচিত যাঁদের নাম প্রকাশ্যে আসছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। যাতে কেউ ছাড় না পান ।
জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘‘আমরা বিজেপির পক্ষ থেকে জানতে চাই যে কত টাকার বিনিময়ে তিনি এই চুক্তি করেছিলেন ? কত টাকার বিনিময়ে এই চাকরি করে বিক্রি করা হয়েছে ? এটা শুধু আমরা নয় সাধারণ মানুষ জানতে চাইছে যে যুবক যুবতীদের ভবিষ্যৎ কারা নষ্ট করেছে ? এর ফলে যাদের প্রকৃতই চাকরি পাওয়ার ছিল, তাঁরা যে চাকরি পাননি সেটা আজ পরিষ্কার হয়ে গেল ।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আর এই টাকা যে বুথ স্তর থেকে কালীঘাট পর্যন্ত পৌঁছেছে সেটা আমরা বিজেপির পক্ষ থেকে অনেক আগেই দাবি করেছিলাম । সেটা আজ প্রমাণিত । সবাই সেটা দেখছে ।’’
আরও পড়ুন:এবার নজরে প্রাথমিক শিক্ষা সচিব, নথি-সহ ডাক পড়ল ইডি দফতরে