বর্ধমান, 26 অগস্ট:পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং আউশগ্রাম তিনটি সাংগঠনিক জেলা দেখভাল করতেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল । সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলের জেল যাত্রার পর হাতছাড়া হল এই তিন বিধানসভার দায়িত্ব (TMC decreases administrative power of Anubrata Mondal) ।
এখন থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে থাকা এই তিন জেলার সংগঠনিক দায়িত্ব সামলাবেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় । আর এই ঘটনাকে সামনে রেখে মনে করা হচ্ছে, সাংগঠনিক ভাবে এবার 'কেষ্ট'র ক্ষমতা হ্রাস করা শুরু করল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস । প্রসঙ্গত, প্রথমে সিবিআই হেফাজত এবং বর্তমানে আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন দাপুটে তৃণমূল নেতা ৷ তাঁকে নিয়ে দল এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ইস্যুতে আবারও তৃণমূলকে বিঁধলেন দিলীপ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন ।এই অবস্থায় বিরোধীরা আক্রমণ শানালেও পাল্টা পথে নেমেছে তৃণমূল । তবে এ দিনের এই সিদ্ধান্তের পর মনে করা হচ্ছে, বীরভূম তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতার শক্তি ছাঁটার পথে হাঁটল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ।
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু জানিয়েছেন, এতদিন পর্যন্ত মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম এবং কেতুগ্রাম পূর্ব বর্ধমান প্রশাসনিক জেলার অন্তর্ভুক্ত থাকলেও এই তিন বিধানসভা ক্ষেত্র দেখতেন অনুব্রত মণ্ডল । কিন্তু এবার দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব আবার পূর্ব বর্ধমান জেলার হাতেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে । ফলে সাংগঠনিকভাবে আগামিদিনে এই তিন বিধানসভার দায়িত্ব কাটোয়ার বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের হাতেই থাকছে ।
আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলা বাংলার বাইরে স্থানান্তরিত করা হোক, বিদায়ী প্রধান বিচারপতিকে চিঠি আইনজীবীদের