বর্ধমান, 23 নভেম্বর:একটা সময় ছিল যখন পাড়ায় পাড়ায় ছিল নাট্যচর্চা (Theatre Yesteryears and Now)। নাটককে কেন্দ্র করে শিল্পীদের মনে ছিল আশা-ভরসা । টিভি সিরিয়াল ও ওয়েব সিরিজের যুগে মানুষ আজ দিনে দিনে মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে । এ ছাড়া নতুন প্রজন্ম নাটকের থেকে ধীরে ধীরে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে । যা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে নাট্যশিল্পী থেকে উদ্যোক্তাদের । ফলে নাটককে কেন্দ্র করে আগামী দিনে দর্শক পাওয়া যাবে কি না, তা ভাবাচ্ছে তাঁদের ৷ নাট্য উৎসব ঘিরে আশায় থাকেন শিল্পীরা । নাট্য উৎসবে ভালো মানের নাটকের স্বাদ পাওয়া গেলেও দর্শক সে ভাবে মেলে না ৷ অথচ সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে সারা বছর ধরেই শহরের নানা প্রান্তে, বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় নাটক চলত । চলত এক পাড়ার নাটকের সঙ্গে অন্য পাড়ার নাটকের প্রতিযোগিতা (East Burdwan News)।
করোনা নাট্যচর্চার উপরও প্রভাব ফেলেছে । বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু গ্রুপ থিয়েটার । কমেছে দর্শক সংখ্যাও । তাই নাটককে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শ্রুতিনাটক, অন্তরঙ্গ নাটক, একক নাটক, একাংক নাটক, পূর্ণাঙ্গ নাটক করা হচ্ছে । এমনকী আজ নাটকের ঘরানা বদলে দিয়ে আলো কিংবা সাউন্ডের সাহায্যেও নাটক করা হচ্ছে । নতুন চিন্তাভাবনায় চলছে ধোঁয়ার ব্যবহার । একটা চেনা ছক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন আঙ্গিকে নাটককে তুলে ধরা হচ্ছে। ফলে শিল্পীদের আশা, দর্শক নাটক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবে না ।
নাট্যকার তথা সারা ভারত নাটকের বিচারের কাজে যুক্ত রমাপতি হাজরা বলেন, "এখন আগের থেকে নাটক অনেক বেড়ে গিয়েছে । রাজ্যে এখন প্রায় পাঁচ হাজার নাটকের দল আছে । এখন শ্রুতিনাটক, অন্তরঙ্গ নাটক, একক নাটক, একাংক নাটক, পূর্ণাঙ্গ নাটক হচ্ছে ৷ এ ছাড়া বিভিন্ন সেমিনার করা হচ্ছে । নাটককে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে । নাটক গতিশীল শিল্প, এটা কখনওই থেমে থাকবে না ।এটা এগিয়ে যাবেই । আগে যেভাবে নাটক হত আজ সেই চিন্তাভাবনার ব্যাপক পরিবর্তন করা হচ্ছে । একটা চেনা ছক থেকে বেরিয়ে এসে থার্ড ফর্মে নাটককে পরিবেশন করা হচ্ছে । এ ছাড়া আছে আলোর সংলাপ অর্থাৎ আলোও কথা বলে ৷"