বর্ধমান, 1 ডিসেম্বর: মানুষের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণা হয়েছে যে এইচআইভি পজিটিভ মায়েরা তাঁদের সন্তানকে দুধ পান করাতে গিয়ে আতঙ্কে ভোগেন । তাদের ধারণা শিশুকে দুধ খাওয়ালে দুধের মাধ্যমে ভাইরাস শিশুর শরীরে প্রবেশ করতে পারে । কিন্তু শিশুর মা এইডসে আক্রান্ত হলেও তার শিশু যদি সুস্থ থাকে তাহলে দুধ পান করানোর ক্ষেত্রে আতঙ্কের কিছু নেই, বিশ্ব এইডস দিবসে এই বার্তা দিচ্ছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকগণ ।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ থেকে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন কোনও মহিলা গর্ভবতী থাকেন সেই সময় বিভিন্ন সময় তাঁর রক্ত পরীক্ষা করা হয় । ফলে যদি এইচআইভি পজিটিভ রিপোর্ট আসে তখন থেকেই তাঁর চিকিৎসা শুরু করে দেন চিকিৎসকেরা । সেক্ষেত্রে একটা ভয় থেকেই যায় । কারণ মহিলার এইডস হওয়ার পরে যদি তাঁর সন্তানের জন্ম হয় তাহলে ওই ভূমিষ্ঠ শিশুর এইডসে আক্রান্ত হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায় । কারণ ওই মায়ের জঠর থেকে তার শিশুর শরীরে এইডসের জীবাণু প্রবেশ করে অর্থাৎ যখন ভ্রূণের গঠন থেকে শরীরের গঠন হয় তখন মায়ের রক্ত থেকে শিশুর দেহে জীবাণু ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে ।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাতৃদুগ্ধের কোনও বিকল্প নেই । শিশুর জন্মের পরে পুষ্টির জন্য এবং বিভিন্ন রোগ থেকে শিশুকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি হয় । সেই পুষ্টির একমাত্র উৎস হচ্ছে মাতৃদুগ্ধ । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি একটা প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে যদি কোনও মা এইচআইভি পজিটিভ হন তিনি তার শিশুকে এক বছর পর্যন্ত দুধ খাওয়াতে পারবেন । এর আগে তারা জানিয়েছিল আক্রান্ত মহিলা তিন মাস পর্যন্ত দুধ খাওয়াতে পারবেন । কিন্তু পরে গবেষণা করে তারা জানায় নেয় এক বছর পর্যন্ত দুধ খাওয়ানো যেতেই পারে ।