মন্তেশ্বর, ২৫ ফেব্রুয়ারি: প্রেমিকের সঙ্গে নিজের মেয়ের সম্পর্ক তৈরি করতে মানসিকভাবে চাপ দিতেন আম্মি। আর এই কাজে মদত জোগাতেন আব্বা। প্রতিবাদ করায় পরিকল্পনা মাফিক খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বোন জেসমিনা খাতুনকে। মন্তেশ্বর থানায় এই অভিযোগ করলেন জামিনা নামে এক যুবতি। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতেই অভিযুক্ত তোহরা বিবি ও আরমান শেখকে গ্রেপ্তার করে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মন্তেশ্বরের মামুদপুর গ্রামে।
"নিজের প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চাপ দিত মা; বোনকেও মেরে ফেলল" - bardwan east
"আমার আম্মি তোহরা বিবির রফিকুল আলম শেখ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। শুধু তাই নয় রফিকুলের সঙ্গে আমার বোনকেও সম্পর্ক তৈরির চাপ দিত আম্মি। আব্বারও মদত ছিল। বোন প্রতিবাদ জানালে ওই ব্যক্তি তার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে। আর তারপরেই এই ঘটনা ঘটে। আমার বোনকে ওরা মেরে ফেলেছে।"
!["নিজের প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চাপ দিত মা; বোনকেও মেরে ফেলল"](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/images/768-512-2541304-229-02c5c582-a137-4a2f-abd0-a61804b15b08.jpg)
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে নিজের বাড়িতেই গলায় ওড়না জড়িয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় জেসমিনা খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। স্থানীয় কুসুমগ্রাম স্কুলের ক্লাস টেনের ছাত্রী ছিল সে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও পরে জেসমিনার দিদি জামিনার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে মন্তেশ্বর থানায় পুলিশ। জামিনা বলেন, "আমার আম্মি তোহরা বিবির রফিকুল আলম শেখ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। শুধু তাই নয় রফিকুলের সঙ্গে আমার বোনকেও সম্পর্ক তৈরির চাপ দিত আম্মি। আব্বারও মদত ছিল। বোন প্রতিবাদ জানালে ওই ব্যক্তি তার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে। আর তারপরেই এই ঘটনা ঘটে। আমার বোনকে ওরা মেরে ফেলেছে।"
তোহরা বিবি ও আরমান শেখকে গ্রেপ্তার করলেও আর এক অভিযুক্ত রফিকুল আলম শেখ এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।